নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের মতো কালিম্পং জেলার লাভা, সামসিং পর্যটন পয়েন্টগুলি পর্যটকদের ক্রমেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। বিশেষ করে যাঁরা ডুয়ার্স ঘুরতে আসছেন, তাঁদেরও এখন টার্গেট থাকছে নেওড়াভ্যালি ঘেঁষা পাহাড়ের কোলে লাভা, সামসিং। বিষয়টি নজরে এসেছে বনদপ্তরেরও। তাই এধরনের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, বর্ষার মরশুম কাটলেই এই অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম চালু হবে। তার কাজ শুরু হয়েছে। কোন পথে মাউন্টেন সাইকেলিং, বাইকিং কোন পথে হবে, সেব্যাপারে সার্ভে হয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে সুরক্ষিতভাবে সামসিং ও লাভাকে কেন্দ্র করে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের সম্ভাবনা। তবে বর্ষায় সময় এ ধরনের ট্যুরিজম চালু করা সম্ভব নয়। আমাদের সার্ভের কাজ শেষে সাইক্লিং ও মাউন্টেনিয়ারিং বাইকিংয়ের রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে একসঙ্গে কতজন অংশ নেবেন, কত টাকা খরচ হবে এবং রুট চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে ভ্রমণপ্রেমীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সামসিং বা লাভা যেকোনও একটি পর্যটন পয়েন্ট থেকে এই অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এতে শুধু পর্যটন নয়, দপ্তরের রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে স্থানীয় কিছু মানুষের রোজগারের পথ খুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম চালু করতে, সরকারের তরফে প্রচারের প্রয়োজন বলে মনে করেন জলপাইগুড়ির একটি ট্রেকার্স ক্লাবের সদস্য ভাস্কর দাস। তিনি বলেন, সাধ্যের মধ্যে খরচ থাকলে এবং ঠিকমতো প্রচার করা গেলে এ ধরনের উদ্যোগ সফল হয়।
নিজস্ব চিত্র