কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) শনিবার কালিয়াচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ আমিরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। মণিপুর থেকে কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারে আমিরুদ্দিনের যোগ রয়েছে বলে এসটিএফের দাবি। ওই ঘটনার পর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের পঞ্চায়েত প্রধান মাদক পাচারকাণ্ডে যুক্ত থাকার বিষয়টি সামনে আসায় শাসকদলের নেতারা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। ভবিষ্যতে যাতে অন্য কোনও নেতা বা জনপ্রতিনিধি এই ধরনের কাজে যুক্ত না হয়ে পড়েন সেব্যাপারে সতর্কও করা হচ্ছে। ব্লকের নেতাদের এব্যাপারে জেলা স্তর থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব প্রকাশ্যে এনিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাইছে না। এব্যাপারে জেলা তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মা বলেন, বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত কাউকে আমরা প্রশ্রয় দিই না। আইনের আওতায় ধৃত প্রধানের বিচার হবে। দল এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। এধরনের ঘটনা কাম্য নয়।
মালদহ জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, কিছুদিন আগে ইংলিশবাজার শহরের একটি হোটেল থেকে আমরা ৬০ লক্ষ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট আটক করি। ওই ঘটনায় মণিপুর, বাংলাদেশ এবং কলকাতার জনা পাঁচেক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা মণিপুর থেকে কলকাতা হয়ে ওই ট্যাবলেট মালদহে এনেছিল। বাংলাদেশে পাচার করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল। তার আগেও তাদের আমরা পাকড়াও করি। ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারে যে একাধিক দল যুক্ত রয়েছে তখনই আমরা জানতে পেরেছিলাম। আমিরুদ্দিন ওইরকমই একটি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। মণিপুর থেকে মালদহে ইয়াবা ট্যাবলেট আনতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য সে সবরকম ব্যবস্থা করে দিত। শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ায় সে সন্দেহের উর্দ্ধে ছিল। সেই সুযোগকে আমিরুদ্দিন কাজে লাগাত। পাচারকারীদের কাছ থেকে সে মোটা অঙ্কের টাকা নিত বলেও আমরা জানতে পেরেছি। এসটিএফ জেরা করে কী তথ্য পাচ্ছে সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। তাদের তদন্তের গতিপ্রকৃতির বিষয়টিও আমরা নজরে রাখছি।
ওই আধিকারিক আরও বলেন, কালিয়াচকের মতো বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উপদ্রুত এলাকার জনপ্রতিনিধি পাচারকাণ্ডে যুক্ত হয়ে পড়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। এলাকার পাচারকারীদের ব্যাপারে তথ্য জোগাড়ের ক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানদের সহায়তা নিয়ে থাকি। সেখানে খোদ প্রধানের পাচারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি সমাজের পক্ষে ভয়ানক। আমাদেরও কাজে সমস্যা হবে।