কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
রবিবার মালদহে এসে টাউন হলে কংগ্রেস কর্মীদের ভিড় দেখে রীতিমতো আপ্লুত হয়ে পড়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব। দুর্বলতা কাটিয়ে কংগ্রেস ফের রাজ্যের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে বলেও দাবি করেন প্রদেশ সভাপতি। দলের কর্মীদের তিনি নির্দেশ দেন বুথ ভিত্তিক সংগঠন চাঙা করতে হবে। মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা ব্যাখ্যা করতে হবে।
এদিন কলকাতা থেকে মালদহে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সোমেন মিত্র। তিনি বলেন, কংগ্রেস এমন একটি দল যাকে ধ্বংস করা যায় না। সাময়িক দুর্বলতা দলকে তাও খানিকটা গ্রাস করেছে বলে মেনে নেন সোমেনবাবু। তবে তিনি বলেন, মানুষের সমর্থন পেতে আমরা জেলায় জেলায় যাচ্ছি। মানুষ আমাদের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিলে কংগ্রেসের সোনার দিন আবারও ফিরে আসবে।
বামেদের সঙ্গে তাঁদের জোট তৃণমূল ও বিজেপি’র মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও দাবি করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, বাহ্যিকভাবে এইও জোটের গুরুত্ব অস্বীকার করার একটা প্রয়াস চলছে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলছেন, এই জোট গোল্লা পাবে। তাতেই স্পষ্ট কংগ্রেস ও বামেদের জোট নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বর্তমান শাসকদলের কপালে।
সোমেন মিত্র দাবি করেন, দেশ জুড়ে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে যে আন্দোলন চলছে তাতে কংগ্রেসের মুখ্য ভূমিকা আছে। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কেউ কেউ ভাবছেন, এনআরসি ও সিএএ নিয়ে আন্দোলনের দায়িত্ব তিনি একাই নিয়ে রেখেছেন। তাই এই ইস্যুতে অন্যান্য বিরোধীরা আন্দোলন করলে তাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কেউই দমছেন না। আন্দোলন চলছেই।
প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মালদহের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, প্রদেশ সভাপতি নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন। তাঁরা বলবেন, বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোকাবিলা করার ক্ষমতা রয়েছে শুধু কংগ্রেস ও বাম জোটেরই। কারণ এই দুই দলই ধর্মনিরপেক্ষ। একই সঙ্গে পুরসভা ভিত্তিক বিভিন্ন ইস্যু, দুর্নীতি ও মানুষের বঞ্চনার কথাও এই প্রচারে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন সাত্তার সাহেব।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, প্রদেশ সভাপতি ও গৌরব গগৈয়ের নির্দেশ অনুযায়ী কংগ্রেস কর্মীরা নিজেদের এলাকায় ঝাঁপিয়ে পড়বেন। বিজেপি ও তৃণমূল যে একই বৃন্তে দু’টি কুসুম তা দুই দলের কার্যকলাপেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বিজেপিকে সমর্থন করা মানে তৃণমূলকে সমর্থন করা। আবার উল্টো দিকটাও একই রকমের সত্যি। এই ব্যাখ্যার মাধ্যমেই বাম-কংগ্রেস জোটের গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে।
তাঁর মালদহ সফরের আগের দিন পতাকা খুলে ফেলা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে যে সংঘাত হয়েছে তা নিয়েও এদিন নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি সোমেন মিত্র। তিনি বলেন, কেউ গায়ের জোরে পতাকা খুলে ফেলতে পারে। কিন্তু মানুষের মন থেকে কংগ্রেসকে অত সহজে উপড়ে ফেলা সম্ভব হবে না।