কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
সাধারণত মুকুল আসার সময়ে বৃষ্টি খুব কমই হয়। যদিও এবছর ফেব্রুয়ারির একেবারে শেষেই তুলনামূলকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় জেলাজুড়ে আমের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এবছর শীত বেশি দিন স্থায়ী হওয়ায় আমের মুকুল আসা নিয়ে অনেকে আম চাষি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। যদিও ইতিমধ্যে আমের মুকুল প্রায় ১০০ শতাংশ গাছে চলে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই আমের ফলন যে ভালো হবে তা বোঝা যাচ্ছে। জেলার আম উৎপাদক মহলেও খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। আম বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মুকুলের সময় টানা বৃষ্টি হলে ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। তবে রবিবার রাতভর যা বৃষ্টি হয়েছে তা মুকুলের পক্ষে ভালো।
মালদহ জেলা উদ্যানপালন দপ্তরে ডেপুটি ডিরেক্টর কৃষ্ণেন্দু নন্দন বলেন, রাতভর ভালই বৃষ্টি হয়েছে। তাতে মুকুলের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং ওই বৃষ্টি উপকারে এসেছে। অসময়ের বৃষ্টি আম চাষের পক্ষে খুবই ভালো। জেলাজুড়ে আমরা যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়েছি তাতে আবহাওয়া এবার আমচাষের অনুকূলে রয়েছে। কেননা বৃষ্টির পরেই ঝলমলে রোদ উঠেছে। আমরা পরিদর্শন করে দেখেছি, প্রায় ১০০ শতাংশ আম গাছেই মুকুল এসেছে। এটা আমের ব্যাপক ফলনের ইতিবাচক বার্তা।
মালদহ ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জল সাহা বলেন, এই অসময়ের বৃষ্টি আম চাষের পক্ষে ভালো। তবে বৃষ্টি হওয়ার পর আবহাওয়া মেঘলা থাকলে যেসব মুকুলের ফুল হয়ে গিয়েছে, সেগুলির ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে পারে। রোদ উঠলে ভালো। সবকিছুই আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল করে। অসময়ের বৃষ্টিতে আম চাষ ভালো বা খারাপ দুটোই হতে পারে। তবে রবিবার রাতের বৃষ্টির পর সকাল থেকে ঝলমলে রোদ ওঠায় আম চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা তেমন নেই।
জেলার আম চাষিরা বলেন, বৃষ্টিতে আম গাছের পাতা ধুয়ে গিয়েছে। বাগানেও জল জমেছে। এতে সেচের কাজ অনেকটা এগিয়েছে।
মালদহে বর্তমানে ৩১ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে আম চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর জেলাজুড়ে আমের ব্যাপক ফলন হয়। এবছরের শুরুতেই আমগাছ মুকুলে ছেয়ে যায়। কিছু ‘আর্লি ভ্যারাইটির’ আম গাছে গুটি ধরতেও শুরু করেছে। আমের মুকুল আসা এবং গুটি ধরার সন্ধিক্ষণে বৃষ্টি অনেক কাজে লেগেছে বলে উদ্যানপালন দপ্তরের কর্তারা মনে করছেন। জেলার কৃষি আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতভর গড়ে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তার মধ্যে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে কালিয়াচকের ব্লকগুলিতে। আম বিশেষজ্ঞরা বলেন, অসময়ে বৃষ্টি হলে আমের পাতা ধুয়ে যায়। এতে গাছের পক্ষে খাদ্য তৈরি করতে সুবিধা হয়। এছাড়াও বৃষ্টির জল সেচের কাজে লেগে যায়।