কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, রবিবার সকালে ওই গৃহবধূর স্বামী শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানান যে স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পরেই ফের ফোন করা হয় শ্বশুরবাড়ি থেকে। ফোন করে জানানো হয় ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে মৃতার পরিবারের সদস্যরা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দেখেন, তাঁদের মেয়ের মৃতদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে। স্বামী সহ পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে পাঠায়। সোমবার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে মৃতার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মৃতার পরিবারের তরফে স্বামী সহ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কুমারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিস।
কুমারগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, খবর পেয়ে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। তবে পুলিস পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতার কাকা বলেন, প্রথমে আমাদের খবর দেওয়া হয়েছিল যে মেয়ে অসুস্থ রয়েছে। তার পর খবর দেওয়া হয় যে মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। আমাদের মেয়েকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। আমরা এই নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।
জানা গিয়েছে, দেড় মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সেভাবে কোনও বিবাদ বা কলহের কথা শোনা যায়নি। তবে মৃতার পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে বলেই দু’বার ফোন করে দু’রকম কথা বলা হয়েছে তাঁদের। ঘটনার খবর পেয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে আত্মহত্যার কোনও চিহ্ন তাঁরা দেখতে পাননি বলে দাবি মৃতার পরিবারের সদস্যদের।