কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
দলের একাংশের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের পর নতুন কমিটি গঠিত হতেই যোগ্য সম্মান না পেয়ে অনেক পুরনো কর্মী বসে গিয়েছেন। এমনকী দলের নানা কার্যক্রমে বসে যাওয়া কর্মীদের ডাকা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন দলের হয়ে কাজ করলেও পুরনো কর্মীদের একটা বড় অংশকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার দীর্ঘদিনের পুরনো কর্মীদের বসিয়ে রেখেছেন। যা নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে দলের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছে। বিধানসভা ও পুরভোটের আগে এই নব্য ও আদি দ্বন্দ্ব মেটাতে না পারলে তা দলের পক্ষে মোটেই ভালো হবে না বলে মনে করছেন বিজেপির পুরনো কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, নতুন বনাম পুরনোর মধ্যে টানাপোড়েন বিজেপি নির্বাচনের আগে কতটা সামাল দিতে পারে, তার উপরই নির্ভর করছে দলের ভোট ভাগ্য।
সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেন, নতুন কমিটি হবার পরে একটু ক্ষোভ থাকে অনেকের। আমাদের দলে যাদের ক্ষোভ রয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে যে সমস্যা রয়েছে তা মেটানো হবে। তৃণমূল পুলিসের ভয় দেখিয়ে যা করছে মানুষ তা মেনে নেবে না। দলের পুরনো কর্মীরা অবশ্যই দলের সম্পদ। আমরা সেই সম্পদ কোনভাবে নষ্ট হতে দেব না।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, আমি সবে দায়িত্ব পেয়েছি। ধীরে ধীরে দলের সংগঠন কিভাবে শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে কাজ করছি।
এদিকে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস মজুমদার বলেন, সুকান্ত মজুমদার উড়ে এসে বিজেপিতে জুড়ে বসেছেন। বিজেপির অনেক পুরনো কর্মীরা দলে সম্মান না পেয়ে আমাদের দলে যোগদান করছেন। একদিন এমন দিন আসবে যেদিন শুধু সুকান্ত মজুমদার একাই বিজেপি দলে থাকবেন। বাকি সবাই আমাদের দলে চলে আসবেন। তিনি বিজেপিকে পৈতৃক সম্পত্তি বলে মনে করছেন।
লোকসভা ভোটের পর বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারকে পদ থেকে সরিয়ে বিনয় বর্মনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। রদবদল করা হয় একাধিক কমিটিতে। তার পরেই শুরু হয়েছে বিজেপির মধ্যে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিজেপির পুরনো কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সুকান্ত মজুমদার নিজের খেয়াল খুশি মতো কমিটি তৈরী করছেন। কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে তাঁর অনুগামীদের দায়িত্ব দিয়ে দিচ্ছেন। পুরনো কর্মীদের বঞ্চিত করে সদ্য দলে আসা কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সুকান্তবাবুর হয়ে ভোটে যে পুরনো কর্মীরা লড়াই করেছেন, তাঁদেরই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে পুরনো বিজেপির কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরী হয়েছে। জেলাজুড়ে নীচু থেকে উঁচু তলার কর্মীদের মধ্যে এই ক্ষোভ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল সেই সমস্ত পুরনো কর্মীদের দলে টানার কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ জেলা কমিটির সদস্যরা বিজেপির ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।