ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসিহাটা ভবানীপুর ব্রিজ মোড়ে সিঁধ কেটে বাইকের শোরুমে চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই নিয়ে রবিবার দিনভর চর্চা চলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বর্তমান যুগেও সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে জানতে পেরে এলাকাবাসীদের একাংশ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। গ্রামেগঞ্জে আগে যখন মানুষের মাটির বাড়ি ছিল, তখন মাটির দেওয়ালে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটত। কিন্তু সদর এলাকায় কংক্রিটের দেওয়ালে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা কি করে সম্ভব, প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীদের দুঃসাহস দেখে অবাক অনেকেই। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মহল। স্থানীয় বাসিন্দা নাজিম আক্তার, সুরেশ মণ্ডল প্রমুখ বলেন, এভাবে কংক্রিটের দেওয়ালে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। একেবারে সদর এলাকায় কি করে এই ধরনের ঘটনা ঘটা সম্ভব? আতঙ্কিত ব্যবসায়ী মহল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পুলিস প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছে।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, সিঁধ কাটার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। শোরুমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সম্পূর্ণ না হলে কিছু বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে ওই শোরুমের দেওয়ালের সিঁধ কেটে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে। শোরুমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তা ধরা পড়েছে।
শোরুম সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা শোরুমের পেছনের দেওয়ালে সিঁধ কেটে ঢুকে পড়েছিল। ওই দেওয়াল ১০ ইঞ্চির ইটের গাঁথুনি দিয়ে গাঁথা ছিল। তারপরে দুই দিকে প্লাস্টার ও ভেতরের দিকে টাইলস বসানো। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ ইঞ্চি পুরু দেওয়াল। এই দেওয়ালে এক ফুট লম্বা ও দেড় ফুট চওড়া করে গর্ত কাটা হয়েছে। ভেতরে দু’জন দুষ্কৃতীর গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু বাইরে কতজন দুষ্কৃতী ছিল তা জানা যায়নি। শোরুমের মালিক শাজাহান আলি বলেন, শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ শোরুমে এসে মেন গেটের শাটার খুলে প্রথমে শোরুম অফিসে যাই। সেখানে দেখি কিছু সিসি ক্যামেরা কাজ করছে না। তখনই সন্দেহ হয় যে কিছু একটা গড়বড় হয়েছে। তারপর দেখি শোরুমের পেছনের দেওয়ালে সিঁধ কাটা হয়েছে। শোরুমটি রয়েছে তুলসিহাটা ভবানীপুর ব্রিজ মোড় স্ট্যান্ডের কাছে, ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। শোরুমটির সামনে রয়েছে সামসি নিয়ন্ত্রিত তুলসিহাটা কৃষক বাজার ও সিকিউরিটি রুম। এক দিকে রয়েছে আরও একটি মোটর বাইক শোরুম ও তুলসিহাটা পেট্রোল পাম্প। প্রায় ১০০ মিটার দূরে রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র ও পুলিস ক্যাম্প। সেই সঙ্গে বহু দোকানপাটও রয়েছে। এই সব গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও ওই শোরুমে চুরি হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহল। বিগত দেড় মাসের মধ্যেই একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। সিঁধ কাটার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। সেবার চাঁচল-১ ব্লক সদরের নিকটবর্তী সিহিপুরে একটি গয়নার দোকানে ওই কাণ্ড ঘটেছিল। সেবারও ওই সোনার দোকানে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার অন্যা ন্য ব্যনবসায়ীদের মাঝে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল।