ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, রবিবার সকালে কোচবিহার জেলার বাংলাদেশ সীমান্তের কুচলিবাড়ি থেকে অভিযুক্ত তাপস রায় ধরা পড়ে। এলাকায় তিনি বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। চূড়াভাণ্ডারের তৃণমূলের বুথ সভাপতি ভোম্বল ঘোষকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ছিল তাপসের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি হুসলুরডাঙা থেকে বাজার যাওয়ার সময় ভোম্বল ঘোষের ওপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ ওঠে। শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোম্বলবাবুর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর শনিবার রাতে চূড়াভাণ্ডারে পৌঁছতেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অশান্তি এড়াতে রাতেই পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ভোম্বল ঘোষের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিন মৃতদেহ সন্ধ্যায় তৃণমূলের ময়নাগুড়ি ব্লক পার্টি অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে দলের জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন, সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ, যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, চন্দন ভৌমিক সহ জেলা স্তরের নেতারা শেষ শ্রদ্ধা জানান। তৃণমূল কর্মীরা চোখের জলে নেতাকে বিদায় জানান। মৃতদেহ চূড়াভাণ্ডারের পার্টি অফিসেও নিয়ে যাওয়া হয়।
সৈকতবাবু বলেন, বিজেপির আক্রমণে একটি তরতাজা প্রাণ আমরা হরালাম। ওঁকে হাঁসুয়া দিয়ে সেদিন কোপানো হয়েছিল। বিজেপি যদি মনে করে আমাদের কর্মীদের এভাবে মেরে এলাকা দখল করবে তবে ওরা ভুল ভাবছে।
ময়নাগুড়ির তৃণমূল নেতা মনোজ রায় বলেন, ভোম্বল ঘোষ খুনে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি পুলিসের কাছে জানিয়েছি। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ঘটনা দুঃখজনক। তবে আমাদের কর্মীদের অহেতুক মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।