ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
মালদহের পরীক্ষা আহ্বায়ক বিপ্লব গুপ্ত বলেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিও সম্পর্কিত কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েনি। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি সুরক্ষিত রয়েছে। গত দু’দিন নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। তবে কেউ কেউ ভিডিও ছড়িয়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, পরীক্ষা কেন্দ্রের কার্নিসে উঠে নকল সরবরাহ করতে গিয়ে রতুয়ায় তিনজনকে গ্রেপ্তার হতে হয়। ফলে কেন্দ্রে গিয়ে নকলের কাগজ সরবরাহের ঝুঁকি নিতে মালদহে তেমন কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও ফুটেজকে কেন্দ্র করে জেলায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ফুটেজে একটি পরীক্ষা কেন্দ্র লাগোয়া বাগান থেকে চিৎকার করে প্রশ্নের উত্তর বলে দিতে দেখা যাচ্ছে। বাগান থেকেই একজন তা ক্যামেরাবন্দি করেছে। ফুটেজে তিনতলা একটি সাদা স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্র দেখা যাচ্ছে। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের পিছনের দিকের অংশ থেকে মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন বা এমসিকিউ-র উত্তর চেঁচিয়ে বলতে দেখা যাচ্ছে। সেসময় পরীক্ষা কেন্দ্রের পিছন দিকে কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার এবং কনস্টেবলকে পাহারা দিতে দেখা যাচ্ছে। তবে তাঁদের কাউকে উত্তরদাতাদের ওই জায়গা থেকে সরানোর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। বিষয়টি আঁচ পেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা অবশ্য হলঘরের জানালার পাল্লাগুলি বন্ধ করে দিয়েছেন।
বারবার মালদহে মাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হওয়ায় অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রতি বছরই প্রশ্ন বিতর্ক নিয়ে মালদহের নাম জড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই মাধ্যমিকের প্রশ্ন বলে কিছু কাগজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে পর্ষদ এবং জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। মনোবিদরা জানাচ্ছেন, প্রশ্ন ফাঁস বা পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের খবরে পরীক্ষার্থীদের মনে প্রভাব পড়ে। পরীক্ষার আগে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র বলে ভূয়ো প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব ভাইরাল হলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেরও পরীক্ষা খারাপ হবে। কারণ শেষ মুহূর্তে তারা ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র পড়তে শুরু করবে। তাতে কী রয়েছে তা জানার জন্য উৎসুক হবে। ফলে তাদের প্রস্তুতির ক্ষতি হবে। সারাবছর ধরে পড়া যাবতীয় বিষয় শেষ মুহূর্তে গুলিয়ে যাবে।
অভিভাবকরা বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের কঠোর হওয়া উচিত। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফেও এব্যাপারে খুব বেশি হেলদোল নজরে পড়েনি। ফলে প্রশ্ন নিয়ে গুজবও রটে যাচ্ছে। এর পিছনে কে বা কারা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষাদপ্তরকে তারজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে বলেও অভিভাবকরা দাবি তুলেছেন।