ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
শুক্রবার মধ্যরাতে ওই শোরুমের দেওয়ালের সিঁদ কেটে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে। শোরুমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তা ধরা পড়েছে বলে শোরুম সূত্রে জানা গিয়েছে। শোরুম সূত্রে আরও জানা যায়, শনিবার সকালে কর্মচারীরা দোকান খুলতে আসার পর দেওয়ালে সিঁদ কাটার ঘটনাটি নজরে পড়ে। কর্মচারীরা সেই ঘটনা শোরুমের মালিক শাজাহান আলিকে জানান। এই ধরনের চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়।
শোরুমের মালিক শাজাহান আলি বলেন, প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শোরুম বন্ধ করে বাড়ি চলে যান কর্মচারীরা। এদিকে শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ শোরুমে এসে শাটার খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন কর্মীরা। তখনই বিষয়টি নজরে আসে সকলের। দেখা যায়, শোরুমের ভিতরের সমস্ত জিনিসপত্র উলটপালট হয়ে পড়ে রয়েছে। ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা ও পলিউশন মেশিন। কম্পিউটার চুরি করে নিয়ে গেলেও সিপিইউটি নিকটবর্তী একটি ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। দেওয়াল কেটে শোরুমে ঢুকলেও বাইক চুরি করে নিয়ে যেতে অসফল হয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার পলিউশন মেশিনটি তারা ভেঙে নষ্ট করে দিয়েছে বলে দোকান মালিক জানান। এছাড়াও চোরের দল আরও বহু দামি দামি যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে বলেও অভিযোগ। কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি শোরুম মালিকের। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় চুরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এপ্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, শোরুমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হবে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শোরুমটি রয়েছে ভবানীপুর ব্রিজ মোড়ের কাছে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। শোরুমটির সামনে রয়েছে সামসি পঞ্চায়েত নিয়ন্ত্রিত তুলসিহাটা মার্কেট ও সিকিউরিটি রুম। একদিকে রয়েছে আরও একটি মোটর বাইক শোরুম ও তুলসিহাটা পেট্রল পাম্প। তার প্রায় ১০০ মিটার দূরে রয়েছে অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্প। এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও ওই শোরুমে চুরি হওয়ায় পুলিসি নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে গত পাঁচ মাসের মধ্যে দু’বার ওই একই শোরুমে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। বছর খানেক আগেও সেখানেই একবার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। মোট তিনবার এই শোরুমে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শোরুম মালিক জানান, কেউ শত্রুতাবশত বারবার চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে হয়তো। তবে তিনি কারও নাম উল্লেখ করতে অস্বীকার করেন।
এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী মহল। সন্ধ্যার পরে সদর এলাকায় যাতায়াত করতে বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিশেষ করে ছাত্রী ও মহিলারা প্রয়োজন থাকলেও বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। বিগত দেড় মাসের মধ্যেই একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।