ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকরা এই বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ বলেন, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করব।
এদিন পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনে বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের নকশা অনুমোদন ও ওই নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহারবাবু বলেন, বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে নকশা অনুমোদন করে স্থানীয় পুরসভা। কিন্তু কখনও কখনও দেখা যায় অনুমোদিত নকশা না মেনে নির্মাণ হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এখন থেকে অনলাইনে বিল্ডিং প্ল্যান জমা দেওয়া যাবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে জিও ট্যাগিং করার বন্দোবস্ত থাকবে। বিল্ডিং প্ল্যান দেখতে পাবেন পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সর্বোচ্চ স্তরের আধিকারিক থেকে স্থানীয় পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। কলকাতা থেকেও নজর রাখা হবে এই নকশা অনুযায়ী নির্মাণের উপর। অনুমোদন দেওয়া হবে পুরসভার পক্ষ থেকেই।
নীহারবাবু বলেন, বহুতল বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে অনুমোদন দেওয়া হবে। যদি দেখা যায়, প্রথম ধাপে নকশা মেনে নির্মাণ হয়নি সেক্ষেত্রে পরবর্তী স্তরে নকশার অনুমোদন পেতে সমস্যায় পড়তে হবে। একইসঙ্গে পুরসভার জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে কি না, সেদিকেও নজর রাখা হবে এই জিও ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে। হাউজিং ফর অল প্রকল্পে এই ধরনের জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা আগে থেকেই ছিল। এবার থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রেও একই বন্দোবস্ত অনুসরণ করার নির্দেশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান।
এদিনের বৈঠকে জঞ্জাল নিষ্কাশনের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিটি বাড়ির জঞ্জাল জৈব ও অজৈব স্তরে পৃথকীকরণ করে সংগ্রহ করা হবে। যে জঞ্জালের পুনর্নবীকরণ সম্ভব, তা করা হবে। মার্চ মাসের মধ্যেই গোটা প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইংলিশবাজার পুরসভা এই বিষয়ে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে। কারণ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই পদ্ধতি মেনে জঞ্জাল অপসারণের কাজ করা সম্ভব না হলে পুরসভাগুলিকে চড়া হারে মাশুল গুণতে হবে বলেও এদিনের বৈঠকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন পুরসভার আধিকারিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কর্মশালা ও প্রশিক্ষণে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কীভাবে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে প্রতিটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের রাজ্য স্তরের এক কর্তা বলেন, আমাদের লক্ষ্য, নাগরিকদের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পরিষেবা দেওয়া। তা নিশ্চিত করতেই এই ধরনের একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে।