ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ওয়ার্ডটিতে বামফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন বর্ণালী হালদার (কুণ্ডু)। তখনই তাঁর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনের দ্বারস্থ হয় জেলা তৃণমূলের একাংশ। তাদের অভিযোগ ছিল, প্রার্থীপদের জন্য নির্ধারিত বয়সের চেয়ে কম বয়সে ভোটে লড়েছিলেন ওই বাম প্রার্থী। পরবর্তীতে বামফ্রন্ট ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বর্ণালীদেবী। কিন্তু আইনি লড়াইয়ে তাঁর কাউন্সিলার পদ খারিজ হয়ে যায়। এতে প্রায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে ওয়ার্ডটি।
কাউন্সিলার না থাকায় যথাযথ পুর পরিষেবা না মেলার অভিযোগ তুলে একাধিকবার আন্দোলনে শামিল হন ওই ওয়ার্ডের অনেক বাসিন্দা। এবার কার্যত অভিভাবকহীন ওই ওয়ার্ডে কে অভিভাবক হবেন, তা নিয়ে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে শাসক দলের মধ্যে।
২৩ নম্বর ওয়ার্ডটি ইংলিশবাজারের ঝলঝলিয়া এলাকা সংলগ্ন। ওই এলাকার সন্নিবিষ্ট একাধিক ওয়ার্ড এবার সংরক্ষণের কোপে পড়ায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলার বিগত নির্বাচনে নিজেদের জিতে আসা আসনে লড়াই করতে পারবেন না বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, বামফ্রন্ট ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলার শুভদীপ সান্যাল প্রমুখ। দলের একাংশ চায়, পারফরম্যান্স ও অভিজ্ঞতা বিচার করে তাদেরই ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হোক।
কিন্তু এবিষয়ে চরম ক্ষোভ রয়েছে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির।
তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে ভুলে ভরা খসড়া অনুযায়ী আমার ও আমার স্ত্রীর জিতে আসা ওয়ার্ড দু’টি সংরক্ষণের কোপে পড়েছে। এই দু’টি ওয়ার্ডের পরিষেবা আমি নিজে দেখি। দলের জেলা থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সব নেতাকেই বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তারপরেও খসড়ার পরিবর্তন না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। কাউন্সিলার থাকতেই হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা আমার নেই। কিন্তু মনে হচ্ছে এই সংরক্ষণের পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র থাকলেও থাকতে পারে। দল আমাকে অন্য কোনও জায়গা থেকে লড়াই করতে বললে ভাবব। কিন্তু আমি সুবিচার চাই। আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পরে কেন আমাকে অন্য কোথা থেকে লড়াই করতে হবে?
অন্যদিকে, শুভদীপ সান্যালের বক্তব্য, এই বিষয়ে আমার নিজস্ব বক্তব্য নেই। দল যেখানে লড়াই করতে বলবে, সৈনিক হিসেবে সেখানেই লড়াই করব।
ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, দলের জেলা সভানেত্রীর কাছে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, জনৈক ব্যবসায়ীও ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার জন্য চেষ্টা শুরু করেছেন। এমনকী প্রতীক উল্লেখ না করে তাঁকে প্রার্থী করার জন্য কেউ কেউ প্রচার করছেন বলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের নজরে এসেছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরের বক্তব্য, দল বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে দলের জনপ্রিয়তা ও জয়ের সম্ভাবনাও আকাশচুম্বী। ফলে অনেকেই চাইবেন তাঁদের পছন্দের মানুষ ও যোগ্য ব্যক্তি প্রার্থী হিসেবে লড়াই করুন। এই বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আমরা মনে করি, দল যাঁকেই প্রার্থী করুক না কেন, সকলেই বাধ্য সৈনিকের মতো তা মেনে নেবেন।