ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে মাথাভাঙা পুরসভায় বিজেপি কিছুটা ভালো ফলাফল করছে। গত পুরসভা নির্বাচনেও তারা একটি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছিল। তারপরও বিজেপি শনিমন্দির মোড়ের দলীয় কার্যালয় সংস্কার করেনি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, শহরে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক থাকলেও সংগঠন তৈরির ব্যাপারে সাংগঠনিক নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। তা না হলে মহকুমা শহরের মতো জায়গায় বিজেপি নিজেদের একটি দলীয় কার্যালয় তৈরি করতে পারত। পুরনো টিনের ভেঙে পড়া চালাঘরের পার্টি অফিসে বসার মতোও পরিস্থিতি নেই। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মহকুমা পার্টি অফিস ছাড়াও একাধিক শাখা সংগঠনের পার্টি অফিস রয়েছে। সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেসের পার্টি অফিস থাকলেও বিজেপি বর্তমানে পার্টি অফিস ছাড়াই একটি রাজনৈতিক দল। শনিমন্দির থেকে হাজরাহাট যাওয়ার বাঁধের রাস্তার পাশে সেচদপ্তরের জমি দখল করে রাখলেও সেখানে ভালো একটি পার্টি অফিস তৈরি করা সম্ভব নয়। পার্টি অফিসের সমস্যা থাকায় এবারের পুরসভা নির্বাচনের আগে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে দলের কর্মীদের। কথায় কথায় পার্টি অফিসের বদলে নেতাদের ছুটতে হচ্ছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলীয় কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করতেও নেতাদের বাড়িতে ছুটতে হচ্ছে। দলীয় কার্যালয় না থাকায় ভোটের কাজেও অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে পিছিয়ে পড়ছে বিজেপি। এনিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যেও আক্ষেপ রয়েছে।
বিজেপির মাথাভাঙা শহর মণ্ডল কমিটির প্রাক্তন সভাপতি তথা কোচবিহার জেলা কমিটির সম্পাদক মনোজ ঘোষ বলেন, শহরে এখন আমাদের দলীয় কার্যালয় নেই বললেই চলে। শনিমন্দির মোড়ের দলীয় কার্যালয়টি এখন আর ব্যবহার করার মতো পরিস্থিতি নেই। আমরা পার্টি অফিস তৈরির জন্য শহরের মূলকেন্দ্রে একটি জমি খুঁজছি। জমি পেলে শীঘ্রই একটি পার্টি অফিস তৈরি করা হবে। আপাতত আমরা আমাদের কয়েকজন নেতার বাড়িতেই দলীয় কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছি। পার্টি অফিস না থাকায় প্রচারে একটু সমস্যা হলেও আমরা সেটা পূরণ করার চেষ্টা করছি। এবারে পুরসভা নির্বাচনে আমরা ভালো ফল করব।