ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে ২৮ হাত কালীপুজোকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ঢল নামে মন্দির চত্বরে। তাঁদের মনস্কামনা পূরণের জন্য মানত নিয়ে দেবীকে উৎসর্গ করেন ভক্তরা। জানা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগে স্থানীয় তান্ত্রিক নারায়ণ দেবনাথ স্বপ্নে ওই কালীপুজোর নির্দেশ পান। তিনিই এলাকাবাসীর কল্যাণে কালীপুজো শুরু করেন এলাকার পাঁচটি গ্রামের মানুষকে নিয়ে। কুশকারী, গোবিন্দপুর, হঠাৎপাড়া, কল্যাণী ও খানপুরের হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেন। গ্রামবাসীদের আর্থিক সহায়তায় এই কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই পুজোর নাম জেলা ছেড়ে বাইরের জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী কোনও জেলায় এত বড় কালী ও শিব মূর্তির পুজো হয় না বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা। ১৫ দিন ধরে আশপাশের জেলার মানুষও ভিড় জমান কালী প্রতিমা দর্শন করতে।
২৮ হাত কালীপুজো কমিটির কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ মহন্ত বলেন, আমরা দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ এই কালীপুজো করে আসছি। শিবরাত্রির পরের দিন আমরা ২৮ হাত কালী ও ৩২ হাত শিবের পুজো করি। এলাকাবাসীর কাছে এই কালী পুজো মিলন মেলায় পরিণত হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। এবারে দেবীর প্রতিমা তৈরি করেছেন কুশকারী এলাকার মৃৎশিল্পী। ভক্তদের দেওয়া কয়েক ভরি সোনা ও রুপোর অলঙ্কার পরিধান করে দেবীর পুজো হয়েছে। দেবীর হাতে পাঁচ কেজির কদমা দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিন ধরে অন্ন ভোগ দিয়ে দেবীর পুজো হবে।
২৮ হাত কালী মন্দিরের পাশেই চলছে মেলা। এসেছে নাগরদোলা, সার্কাস, ম্যাজিক সহ একাধিক দোকান। গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস অধিকারিক দীপকুমার দাস বলেন, মেলার নিরাপত্তার জন্য বংশীহারি পুলিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুজো বা মেলাকে ঘিরে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেলায় সাদা পোশাকের পুলিস মোতায়েন থাকবে। রাজ্য সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা থাকবে। এখন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। তাই মাইকের ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই সেই নিয়ম ভেঙে মাইকের ব্যবহার যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।