বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
টেকাটুলিতে ময়নাগুড়ি-ধূপগুড়ি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বহুদিন ধরে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে রাস্তা অনেকটা চওড়া হয়েছে। এই রাস্তার একপাশে রয়েছে চারেরবাড়ি, দ্বারিকামারি এবং অপরদিকে রয়েছে বাশিলারডাঙ্গা, নীরেন্দ্রপুর। এই অঞ্চলে একটিমাত্র হাইস্কুল রয়েছে। সড়ক সম্প্রসারণের কাজ ধীরগতিতে চলায় ও রাস্তার ধারে বালি পাথর পড়ে থাকায় এই এলাকায় সম্প্রতি প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন প্রাণও হারিয়েছেন। ফলে অনেকেই রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসতে চাইছে না। বাসিন্দারা বলেন, বর্তমানে রাস্তার যা পরিস্থিতি তাতে আমাদের চলাচল করতেই ভয় লাগে। বাচ্চাদের স্কুলে কীভাবে পাঠাব। বাড়ি থেকে বের হলেও এই রাস্তার জন্য টেনশনে থাকতে হয়। একারনে আমরা কিছুদিন আগে আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছি যে আমাদের এই এলাকার স্কুলের দিকে ও স্কুলের ছাত্রীদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে একটি আন্ডারপাস তৈরি করা হোক।
খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু রায় বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আমিও একমত। আমার কাছে খবর আছে এই রাস্তার জন্য বহু ছাত্রছাত্রী স্কুল ছুট হয়ে পড়েছে। আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের কাছে আবেদন করেছি যে এই এলাকায় একটি আন্ডারপাসের ব্যবস্থা করা হোক। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টেকনিক্যাল ম্যানেজার প্রদ্যুৎ দাশগুপ্ত বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভাবার আছে। আমি তো হঠাৎ করে কিছু বলতে পারি না। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তাদের কাছে আমি অবশ্যই বিষয়টি জানাব। দেখছি কী করা যায়। তবে জাতীয় সড়কের কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে না। আমাদের কাজ পুরোদমেই চলছে। টেকাটুলি রামকান্ত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর দাস মুন্সি বলেন, আমাদের এই স্কুলে ১৯০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এই রাস্তার জন্য ছাত্রছাত্রী সংখ্যা দিন দিন কমেই যাচ্ছে। একারণে আমি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে একটি আন্ডারপাসের দাবি জানিয়েছি। তারা কী করে এটাই দেখার। তবে দুর্ঘটনাপ্রবণ এই এলাকার রাস্তায় আন্ডারপাস না হলে বহু ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা ছেড়ে দেবে। তা আমরা কখনও চাই না। সেজন্য আমাদের দাবি দ্রুত আন্ডারপাস তৈরি করা হোক।