বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
জেলাজুড়ে গোরু চুরি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জের অনেক জায়গায় গোরু চুরির সংখ্যা বাড়ছে। চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েও তা কমানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অনেক জায়গায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় গোরু চুরি করে নিয়ে গিয়ে রাখা হচ্ছে। বিএসএফের অসর্তকতার সুযোগ নিয়ে পাচারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি, সাতমাইল, ধলপল, ভেটাগুড়ি, সাহেবগঞ্জ, গোসাঁইরহাট এলাকাগুলিতে চুরির সংখ্যা বাড়ছে। চোর সন্দেহে সাধারণ মানুষ কাউকে আটক করে মাঝেমধ্যেই পুলিসের হাতে তুলে দিচ্ছে। সাতমাইলে গোরু চুরির ঘটনায় রাস্তা অবরোধও করা হয়। দীর্ঘ সময় কোচবিহার মাথাভাঙা রাস্তা অবরোধ থাকার পর পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ধলপলে চোর সন্দেহে তিন জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চুরির অভিযোগ জানিয়েও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোর ধরা না পড়ায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। চুরির গোরুও উদ্ধার হচ্ছে না। থানায় গোরু চুরির অভিযোগ করার পর সুরাহা না পেয়ে গণপিটুনি, পথ অবরোধের পথ বেছে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
জেলা পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, গোরু চুরির অভিযোগগুলি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোরু চুরিতে জড়িত সন্দেহদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। গোরু চুরি হওয়া এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেই এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলিতে টহলদারি বাড়ানো হচ্ছে। মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, দিনহাটাতে চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে। থানার আইসি, ওসিদের গোরু চোর ধরতে বিশেষ অভিযান চালাতে বলা হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দামি গাড়ি করে রাতের বেলা চুরি করতে বের হয় চোরের দল। রাস্তার ধারের গোরু সহ বাড়ির গোরুও চুরি করে তারা। চুরির বেশিরভাগ গোরু নয়ারহাট, নটকোবাড়ি সহ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নামানো হয়। নটকোবাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে তারা। চুরি আটকাতে ভেটাগুড়ি, মাতালহাট, ওকড়াবাড়ি বিশেষ নাকা তল্লাশি বসানো হয়েছে। দিনহাটা নয়ারহাট রাস্তায় বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে।