শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
এদিন শহরের দেবীনগর কালীবাড়ি এলাকা থেকে মিছিল করে কংগ্রেস মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য রওনা দেয়। সেই মিছিলে হুডখোলা গাড়িতে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি। এরপরেই শহরের রেল গুমটি এলাকা থেকে মিছিল করে কর্ণজোড়ার উদ্দেশে রওনা দেন বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। অন্যদিকে, কসবা মোড় থেকে মিছিল করে হুড খোলা জিপে চেপে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য রওনা দেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল। কর্ণজোড়ায় পৌঁছে এদিন তিন হেভিওয়েট প্রার্থীই জেলা নির্বাচন আধিকারিক অরবিন্দকুমার মিনার হাতে তাঁদের মনোনয়ন পত্র জমা দেন। সকাল থেকে দফায় দফায় মিছিলের জেরে যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহর। স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। নাকাল হতে হয় শহরবাসীকে। কর্ণজোড়ায় প্রশাসনিক ভবনের আশপাশ এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। রংবাহারি, পতাকা, ফেস্টুন প্ল্যাকার্ডে এলাকা ছয়লাপ হয়ে যায়। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ দেবীনগর কালীবাড়ি এলাকা থেকে প্রথমে মিছিল শুরু করে কংগ্রেস। দীপা দাশমুন্সি হুডখোলা গাড়িতে চেপে হাসিমুখে করজোড়ে এগতে থাকেন। কখনও হাত নাড়ান জনতার উদ্দেশ্যে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক প্রমথনাথ রায় সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা। দলীয় পতাকা, ফেস্টুন, মাইকে ঘোষণা, মোটর বাইক, সর্মথকদের গাড়ি নিয়ে মিছিলটি শিলিগুড়ি মোড় পর্যন্ত যায়।
এর একটু পরেই রেলগুমটি সংলগ্ন এলাকা থেকে বামেরা মিছিল শুরু করে। তাদের মিছিলে গাড়ি বা মোটর সাইকেল ছিল না। বেলা প্রায় ১২টা নাগাদ তাদের মিছিল শিলিগুড়ি মোড় এলাকা ছাড়িয়ে চলে যাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলটি শহরের কসবা মোড় থেকে ধীরে ধীরে শহরের বিদ্রোহী মোড়, বিবেকানন্দ মোড়, বিবিডি মোড়, ঘড়ি মোড়, মোহনবাটি, বিধাননগর মোড়, দেহশ্রী মোড় হয়ে শিলিগুড়ি মোড়ের দিকে এগতে থাকে। মিছিলের মাঝের অংশে দলীয় প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল হুডখোলা গাড়িতে ছিলেন। শহরের মোড়ে মোড়ে দলীয় প্রার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তৃণমূল কাউন্সিলারদের পক্ষ থেকে।
এদিন সবার আগে মনোনয়ন পত্র জমা দেন দীপা দাশমুন্সি। তিনি বলেন, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরেই এখানে কংগ্রেসের জয়জয়কার শুরু হয়েছিল। আজকে আবারও রায়গঞ্জের মানুষ প্রমাণ করলেন যে তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গেই আছেন। উন্নয়নের সঙ্গে আছেন। সম্প্রীতির পক্ষে আছেন। বাম প্রার্থী সেলিম মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বলেন, দাড়িভিটে সীতারাম ইয়েচুরির সভার মাধ্যমে আমরা একটা সাঁকো তৈরির চেষ্টা করেছিলাম। তখনও মানুষকে একটা কথাই বলেছি শান্তি চাই। তার জন্য ঐক্য চাই। এই রাজ্যে বিভেদকামী শক্তি দানা বেঁধেছে। সেই বিষের বীজ যাতে অঙ্কুরিত না হয় তা দেখতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কনাইয়াললাল আগরওয়াল বলেন, একবার করে ব্লকগুলিতে কর্মিসভা হয়ে গিয়েছে। এবার জনসভা ও এলাকায় এলাকায় জনসংযোগে জোর দেব। আমাদের সংগঠন রয়েছে। জিততে সমস্যা হবে না।