কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
আমাদের সৌরজগতের বাইরে অন্য কোনও নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণকারী গ্রহদেরকেই বলা হয় এক্সোপ্ল্যানেট। ২০১৫ সালে ‘কে২-১৮বি’ নামের এই এক্সোপ্ল্যানেটটি আবিষ্কৃত হয়। আমাদের সৌরমণ্ডলের প্রায় ১১০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে গ্রহটি। সূর্যেরই মতো আরেকটি নক্ষত্র ‘কে২-১৮’ কে প্রদক্ষিণ করে চলেছে সেটি। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক তথা গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক এঞ্জেলস সিয়ারাস বলেন, ‘পৃথিবীকে ছাড়া একটি বাসযোগ্য গ্রহে জলের সন্ধান পাওয়াটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার।’ তবে, ‘কে২-১৮বি’-কে ‘আর্থ ২.০’ বা পৃথিবীর দ্বিতীয় সংস্করণ বলতে নারাজ সিয়ারাস। কারণ, গ্রহটির ভর পৃথিবীর থেকে প্রায় ৮ গুণ বেশি। তাছাড়া সেটির বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলিও পৃথিবীর থেকে আলাদা।
কীভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন বিজ্ঞানীরা? গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রথমে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের সংগৃহীত তথ্যগুলিকে বিশ্লেষণ করা হয়। এর সঙ্গে এক বিশেষ ওপেন সোর্স অ্যালগোরিদম্-এর মাধ্যমে ওই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে নক্ষত্রের আলোর প্রতিফলনকেও মিলিয়ে দেখেন বিজ্ঞানীরা। আর তাতেই চমকপ্রদ তথ্য মেলে। দেখা যায়, ‘কে২-১৮বি’-তে জলীয় বাষ্পের কণার পাশাপাশি হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের অস্তিত্ব রয়েছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সোপ্ল্যানেটগুলির বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষণারত জশ লথরিঙ্গার ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘সূর্য থেকে পৃথিবীতে যতটা তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ পৌঁছয়, সেই তুলনায় মাত্র ৫ শতাংশ বেশি তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের সংস্পর্শে আসে কে২-১৮বি। ফলে সেখানকার তাপমাত্রা মোটামুটি ২৬৫ কেলভিনের (-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) আশপাশেই ঘোরাফেরা করে।’ তবে, সেখানে মেঘের অস্তিত্ব রয়েছে কি না, বা সেখানকার বায়ুমণ্ডলে জলকণার পরিমাণই বা কত, তা জানতে আরও গবেষণা চলবে।
নাসার কেপলার মহাকাশযান এখনও পর্যন্ত এই ধরনের প্রায় একশো এক্সোপ্ল্যানেট বা ‘সুপার আর্থ’ খুঁজে বের করেছে। যদিও, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কও ছড়িয়েছে। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত নন এমন কয়েকজন বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, এখনই ওই গ্রহটিকে ‘বাসযোগ্য’ তকমা দিয়ে দেওয়াটা ঠিক নয়। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এরিন মে বলেন, ‘পৃথিবীর যেকোনও মহাসাগরের সবচেয়ে গভীরতম বিন্দুতে যতটা চাপ থাকে, তার অন্তত ১০ গুণ বেশি চাপ এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে আছে। তাই এখানে বসবাস অসম্ভব।’