বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
তবে কে এই তরুণী? যিনি রাজার দেহরক্ষী থেকে সোজা রাজরানী হয়ে উঠলেন। সুথিডা ছিলেন থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট। বিমান ভ্রমণের সময় ৬৬ বছরের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ণের তাঁর প্রথম দেখা হয়। তবে ঘটনাচক্রে আরও দু’বার বিমানেই রাজার সঙ্গেই দেখা হয় সুথিডার। এরপর তাঁর প্রেমে পড়ে যান রাজা। ২০১৩ সালে রাজার দেহরক্ষী গ্রুপের সদস্য করা হয় সুথিডাকে। ২০১৬ সালে রাজা ভূমিবল মারা যাওয়ার পর রাজা হন মহা ভাজিরালংকর্ণ। ওই বছরই রাজার সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় ৪০ বছরের সুথিডার। তারপরের বছরই রাজার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর পদে আনা হয় তাঁকে। সুথিডাকে করে দেওয়া হয় থানপুইং লেডি। যার অর্থ হল রয়্যাল লেডি। তবে রাজার প্রেম নিয়ে নিয়ে কুলুপ এঁটেছিলেন সব পক্ষই। তবে ধামাচাপা থাকেনি তাঁদের প্রেমের কাহিনি। সবাইকে চমকে দিয়ে বুধবার সুথিডাকে বিয়ে করে নেন ভাজিরালংকর্ণ। বুধবার ব্যাঙ্ককে রাজপ্রাসাদে রাজ পরিবারের নীতি মেনে বিয়ে সারেন তাঁরা। ‘বর-কনে’ উভয়ই পরেছিলেন রাজ পরিবারের ঐতিহ্যশালী পোশাক। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তাঁদের বিয়ের ছবি ধরা পড়েছে।
এদিকে শনিবার মহা ধুমধাম করে রাজ রীতি মেনে সুথিডার রাজ্যভিষেক হবে। সেখানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা সহ সরকারের অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। যদিও এর আগে রাজা ভাজিরালংকর্ণ তিনবার বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাঁর সাত সন্তান রয়েছে। উল্লেখ্য, ৭০ বছর ধরে রাজ্যপাট সামলানোর পর ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে মৃত্যু হয় রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের। এরপর তাঁর পুত্র ভাজিরালংকর্ণ রাজা হন।