নয়াদিল্লি (পিটিআই): আজ দ্বিতীয় দফায় ভোট। ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৮৮টি লোকসভা আসনে ভোট হবে। এরমধ্যে কেরলে ২০টি, কর্ণাটকে ১৪টি, রাজস্থানে ১৩টি, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ৮টি করে, মধ্যপ্রদেশে ৬টি, বিহার ও অসমে ৫টি করে এবং পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তিশগড়ে ৩টি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এছাড়া নির্বাচন রয়েছে ত্রিপুরা, জম্মু-কাশ্মীর ও মণিপুরের একটি করে আসনে। ভোট শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করতে মরিয়া কমিশন। ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার। 
দ্বিতীয় দফায় আজ, শুক্রবার যে আসনগুলিতে ভোট নেওয়া হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম ওয়েনাড়। এখানে রাহুল গান্ধীর লড়াই সিপিআইয়ের অ্যানি রাজা ও বিজেপির কে সুরেন্দ্রনের বিরুদ্ধে। গত লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য সিপিআইয়ের পি পি সুন্নেরকে চার লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন রাহুল। এবারের আর এক নজরকাড়া কেন্দ্র তিরুবনন্তপুরম। এখানে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের বিরুদ্ধে লড়ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ও সিপিআইয়ের পান্নিয়ান রবীন্দ্রন। কেরলে পরীক্ষা কে সি বেণুগোপালের মতো কংগ্রেস নেতারও। কেরল বরাবরই বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকে। এবারে কি দক্ষিণের এই রাজ্যে খরা কাটবে? ভোটের মুখে এমনই নানান প্রশ্ন ঘুরছে রাজ্য রাজনীতিতে। 
কেরলের ২০টি আসন ছাড়াও দ্বিতীয় দফায় ভোট রয়েছে কর্ণাটক, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ সহ মোট ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে। এই দফায় গেরুয়া শিবিরের হেমা মালিনী, ওম বিড়লা, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, কৈলাস চৌধুরী, রাজীব চন্দ্রশেখর, অরুণ গোভিলের মতো তারকা প্রার্থীদের ভাগ্য পরীক্ষা। ২০১৪ সাল থেকে মথুরা কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। এবারে তাঁর লড়াই কংগ্রেসের মুকেশ ধানগড়ের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, কোটার দু’বারের সাংসদ তথা লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার লড়াই হাত শিবিরের প্রহ্লাদ গুঞ্জালের। যোধপুরে কংগ্রেস প্রার্থী করণ সিংকে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য জেতার লড়াই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেখাওয়াতের। বেঙ্গালুরু দক্ষিণে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ তেজস্বী সূর্যের টক্কর কংগ্রেসের সৌম্যা রেড্ডির বিরুদ্ধে।
এই দফায় মোট ৮৯টি কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও বেতুল কেন্দ্রের বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) প্রার্থী অশোক বালাভির মৃত্যুতে এই দফায় এই কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে না। এখানে ভোট হবে তৃতীয় দফায়, আগামী ৭ মে। সেখানে বসপা প্রার্থী করেছে অশোক বালাভির ছেলে অর্জুনকে। ২০১৯ সালে অবশ্য বেতুল কেন্দ্র সহ মোট ৫৩টি আসন জিতেছিল গেরুয়া শিবির। তাদের জোটসঙ্গীরা পেয়েছিল ১২টি আসন। মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র সদস্য দলগুলি জিতেছিল মোট ২৩টি আসনে।
এবারে কি হিসেব বদলাবে? যাবতীয় আশা-আশঙ্কার দোলাচলের উত্তর মিলবে ৪ জুন।