আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
এদিন সকালে বাড়ির জিমন্যাশিয়ামে শরীরচর্চায় ব্যস্ত ছিলেন সৌরভ। ট্রেডমিলে ঘাম ঝরানোর সময় আচমকাই তিনি ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা অনুভব করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই অস্বস্তি বাড়ে। কিছুক্ষণের জন্য সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন মহারাজ। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ইসিজি, ইকো-কার্ডিয়োগ্রাম, অ্যাঞ্জিওগ্রামের মাধ্যমে অসুস্থতার কারণ অনুসন্ধান চলে। দেখা যায়, ট্রিপল ভেসেল ডিজিজে আক্রান্ত তিনি। সমস্যা রয়েছে হৃদযন্ত্রের তিনটি ধমনীতে—লেফট অ্যান্টেরিয়াল ডিসেন্ডিং আর্টারি (এলএডি), রাইট করোনারি আর্টারি (আরসিএ) এবং লেফট সারকামফ্লেক্স আর্টারি (এলসিএক্স)। এর মধ্যে আরসিএ বা হৃদযন্ত্রে রক্ত সরবরাহকারী ডানদিকের প্রধান ধমনীর ব্লক দ্রুত খোলার প্রয়োজন ছিল। না হলে বড় অঘটন ঘটতেই পারত। তাই তাড়াতাড়ি প্রাইমারি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টের সিদ্ধান্ত নেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। একটি স্টেন্ট বসানোর পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আপাতত তাঁকে রাখা হয়েছে আইসিসিইউতে। সন্ধ্যায় চা-বিস্কুটও খেয়েছেন। মহারাজের চিকিৎসার জন্য সাত সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। তাতে রয়েছেন ডাঃ সরোজ মণ্ডল, আফতাব খান, এস বি রায়ের মতো চিকিৎসকরা। পরবর্তী চিকিৎসা কোন পথে চলবে তা তাঁরাই ঠিক করবেন। বাকি দু’টি ব্লক খোলার জন্য স্টেন্ট বসানোর সম্ভাবনা প্রবল। প্রয়োজনে বাইপাস সার্জারিও হতে পারে। এই ব্যাপারে মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শনিবার মহারাজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘সৌরভের মাইল্ড কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে শুনে মন খারাপ। দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। ওর পরিবারের পাশে সবসময় রয়েছি।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় নিজেই পৌঁছে যান হাসপাতালে। সৌরভের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘ওর সঙ্গে কথা বললাম। ঢোকামাত্রই সৌরভ জানতে চাইল, আমার শরীর কেমন আছে? অল্প কিছুক্ষণ কথাও হল। সৌরভ এখন বিপন্মুক্ত। তবে এই বয়সে হার্ট অ্যাটাক কখনওই কাম্য নয়।’
জানা গিয়েছে, সৌরভের পরিবারে ইসকিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। সাধারণত হৃদযন্ত্রের ধমনীতে রক্ত না পৌঁছলে মানুষ একটুতে হাঁপিয়ে ওঠেন। মহারাজের ক্ষেত্রেও তেমনটা ঘটেছে বলেই মন্তব্য হাসপাতালের সিইও রূপালি বসুর।