আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
ফরিদকোটের দরিদ্র যুবক আজমল কাসবের নেতৃত্বে ১০ জন জঙ্গির দল করাচি থেকে স্পিডবোটে এসে মুম্বইয়ের এক ফিশিং ট্রলার ছিনতাই করে মুম্বইয়ের সমুদ্রতটে নেমেছিল। এক রাতের মধ্যে স্টেশন থেকে পাঁচতারা হোটেল, কাফে থেকে ইহুদি গেস্ট হাউসে গণহত্যা চালায় ওই ১০ জন। এই গোটা অভিযানের সময় হাফিজ সঈদ ও জাকিউর রহমান লাখভি স্যাটেলাইট ফোনে এই জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি আমেরিকার শিকাগো শহরের পাকিস্তানের এক বংশোদ্ভূত ড্রাগ মাফিয়া ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে দফায় দফায় মুম্বইয়ে পাঠিয়ে হামলার মহড়া তৈরির পিছনেও প্রধান মাথা ছিল এই লাখভি।
ভারত ২০০৮ সালের পর কয়েক দফায় হাফিজ সঈদ ও জাকিউর রহমান লাখভির যুক্ত থাকার তথ্য ও কন্ঠস্বরের নমুনা দিয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের কয়েকবার লোকদেখানো গ্রেপ্তার করা ছাড়া আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৫ সালেও একবার লাখভিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সে পরে জামিনে মুক্ত হয়। এবার আবার গ্রেপ্তার করার পরই ভারত তাকে প্রত্যর্পণের জন্য চাপ দেওয়ার পরিকল্পনা নিলেও এই গ্রেপ্তারিও আদতে সম্পূর্ণটাই লোকদেখানো বলেই মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস প্রতিরোধী সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স ধূসর তালিকায় (গ্রে লিস্ট) রেখেছে। কারণ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান প্রশাসনের নরম মনোভাব। এই সংস্থার কাছে নতুন বছরে নিজেদের কঠোর পদক্ষেপের প্রমাণ দিয়ে ধূসর তালিকা থেকে নিষ্কৃতী পেতেই পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই আবার লাখভিকে কিছুদিনের মধ্যেই জামিন দেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। যদিও পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের গ্লোবাল টেররিস্ট তালিকাতেও রয়েছে লাখভির নাম। তাই তার জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। লাহোরেরঅ্যান্টি টেররিজম আদালতে হবে লাখভির বিচার।