বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
রাজ্য সরকারের তরফে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, টার্মিনাল নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাবান অথবা স্যানিটাইজার রাখতে হবে। এছাড়াও যাত্রীরা যাতে সামাজিক দূরত্ব এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন, তার জন্য যাবতীয় প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টার্মিনালে যেখানে যাত্রীরা বসে অপেক্ষা করবেন, সেখানে যাতে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বজায় থাকে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কলকাতা থেকে সোমবার ৮০টি বিমান দিয়ে পরিষেবা শুরু হবে। কিন্তু পরে সোমবার দিনটি পিছিয়ে বৃহস্পতিবার হয়। এরপর উড়ানের সংখ্যাও কমে যায়। বিমানবন্দরের কর্তারা জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে ১০টি বিমান উড়বে এবং ১০টি নামবে। বাগডোগরাতেও ১০টি বিমান উড়বে। অণ্ডালে অবশ্য আগের সংখ্যার উড়ানই রাখা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের তরফে বিমানযাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক পরতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। বিমানবন্দরেই প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। বিমানে ওঠার আগে প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। কেবলমাত্র উপসর্গহীন যাত্রীকেই বিমান উঠতে দেওয়া হবে। কলকাতায় আসা যাত্রীদের একটি ফর্মে নিজের বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে দিতে হবে। সংক্রমণের লক্ষণ না-থাকলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হবে না। ১৪ দিন বাড়িতে থেকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হবে। ওই সময়ে সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানাতে হবে। কলকাতায় নামা যাত্রীর দেহে সংক্রমণের হালকা বা স্পষ্ট আভাস মিললে লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। তাঁদের পাঠানো হবে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। প্রয়োজনে তাঁদের মধ্যেই কিছু মানুষকে এয়ারপোর্টের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে। সংক্রমণের স্পষ্ট লক্ষণ থাকলে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।