বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
ঘটনাটি ঘটেছে গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে। ২৩ এপ্রিল প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে রাজোলির প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান বছর কুড়ির জানিলা। তাঁর বাড়ি গারোয়াল জেলার জগুলাম্বায়। সেটি রেড জোন হওয়ায় চিকিৎসকদের আশঙ্কা হয়, তিনি করোনা আক্রান্ত। তাই তাঁকে গারোয়াল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মেহবুবনগর জেলা হাসপাতাল, তারপর সুলতানবাজারের সরকারি প্রসূতি হাসপাতাল, তারপর গান্ধী হাসপাতাল। সেখানে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর জানিলাকে পাঠানো হয় পেটলাবুর্জ প্রসূতি হাসপাতালে। ২৬ এপ্রিল সেখানে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সদ্যোজাতকে নিলোফার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে মারা যায় ওই সদ্যোজাত। জানিলাকে স্থানান্তরিত করা হয় ওসমানিয়া হাসপাতালে। ২৭ এপ্রিল মারা যান তিনিও। এই ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হয় গোটা রাজ্য। রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠায় মানবাধিকার কমিশনও।
সেই ঘটনার রিপোর্ট পেশ করতে গিয়ে এদিন রাজ্য সরকারের তরফে উচ্চতর আদালতকে জানানো হয়, অন্তঃসত্ত্বা এবং সদ্যোজাতদের চিকিৎসায় কোনওরকম গাফিলতি সরকার বরদাস্ত করবে না। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কাউকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে অন্তঃসত্ত্বাদের কীভাবে চিকিৎসা করতে হবে, সে ব্যাপারে শীঘ্রই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে।