সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
এরপরেও ফুলপুর কেন্দ্র জেতার আশা করতেই পারে বিজেপি। স্থানীয়রা বলছেন, এবারের লড়াই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অন্যদের। কুম্ভমেলা ঘিরে যে অভূতপূর্ব পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে ফুলপুরে, তার সুফল এবার ভোটে পাবে বিজেপি। তাই বিজেপি প্রার্থী কেশরীদেবী প্যাটেলের জিততে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এলাহাবাদ উত্তরে দোকান চালান অসিত নিয়োগী। তাঁর কথায়, ‘মানুষের মন থেকে ২০১৯-এর কুম্ভমেলার রেশ এখনও কাটেনি। কুম্ভমেলার জন্য যে পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা। এর সুবিধা অবশ্যই বিজেপি পাবে।’ স্থানীয় বাসিন্দা ভাস্কর সিং বলেছেন, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখানে উন্নয়ন নজরে আসছে। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী অভিলাশ বসাক বলেছেন, চারলেনের সড়কগুলির অবস্থা ভালো নয়, বাতিস্তম্ভ অনেক জায়গায় ভেঙে পড়েছে। বর্ষার সময় লুকারগঞ্জে জল জমে যায়। এরপরেও বসাক বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে ২০১৯ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই রয়েছেন।’ এলাহাবাদের দ্বারগঞ্জের বাসিন্দা নির্মলকুমার দাসের আবার মন্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে উন্নয়নের বিষয়টি পিছনে চলে গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এখানে জাতপাত নিয়ে বড় বেশি আলোচনা হচ্ছে।
ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে ফুলপুর, ফাফামাউ, সোরান, এলাহাবাদ পশ্চিম এবং এলাহাবাদ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র। এসপি এবার এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে পান্ধেরি যাদবকে। কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন পঙ্কজ প্যাটেল। এই কেন্দ্র ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এসপি মুখপাত্র বিধায়ক রাজপাল কাশ্যপ বলেছেন, ‘ফুলপুর, গোরক্ষপুর এবং কৈরানা উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক চালচিত্রই বদলে দিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরি মানুষ। এই সমস্ত কেন্দ্রগুলি মহাজোটের পক্ষে ভোট দিয়ে মহাপরিবর্তন সুনিশ্চিত করবে।’ এসপির দাবি উড়িয়ে বিজেপির মিডিয়া শাখার কোঅর্ডিনেটর রাকেশ ত্রিপাঠি বলেন, ‘গতবার কম ভোট পড়ায় উপনির্বাচনে বিজেপি হেরে যায়। প্রথম বারের ভোটাররা এবার দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। বিজেপি এবার অবশ্যই ফুলপুর জিতবে।’ কিন্তু একদা গড় পুনরুদ্ধার করা নিয়ে নিশ্চুপ কংগ্রেস প্রার্থীই!