সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক তথা নির্বাচন আধিকারিক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, রাজনৈতিক দল নির্বাচনের সময় প্রচার করবেই। তবে সভাধিপতির পদ উল্লেখ করে ভোট প্রচার নিয়ে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। সভাধিপতি তাঁর পদ উল্লেখ করে ভোট প্রচার করতে পারেন কি না বিষয়টি আইন ঘেঁটে দেখা হচ্ছে।
জেলা বিজেপির প্রবক্তা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, জেলার সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ হচ্ছে জেলা পরিষদের সভাধিপতির। গৌরচন্দ্র মণ্ডল নিজের নামে ভোট প্রচার করছেন তাতে আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের আপত্তি সভাধিপতি মালদহ জেলা পরিষদ নিয়ে। এই পদ ব্যবহার করে তিনি ভোট প্রচার করতে পারেন না। এটা অনৈতিক এবং নিয়মবিরুদ্ধ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এনিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেব।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মুস্তাক আলম বলেন, ভোট প্রচারে সাংবিধানিক পদ ব্যবহার করা যায় না। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে বলব ন্যূনতম রাজনৈতিক চেতনার অভাব রয়েছে। সুতরাং এর প্রতিবাদ হোক এবং হবিবপুরে সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ ফিরে আসুক।
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, আমি সবকিছু জেনে বুঝে প্রচারে নিজের নামের সঙ্গে পদ ব্যবহার করেছি। সবকিছুর নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। সুতরাং বিতর্কে কোনও জায়গা থাকতে পারে না।
হবিবপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির নামের সঙ্গে পদ উল্লেখ করে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তাতে জেলাজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলের মতে যে পোস্টারটি দেওয়ালে দেওয়ালে কর্মীদের দিয়ে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে তা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রিন্টিং করা হয়েছে। কেননা এখানে দলের দলীয় প্রতীকের ওপরে প্রার্থীর ছবি রয়েছে। এবং প্রতীকের নিচে এক নম্বর বোতাম টিপে বিপুল ভোটে জয়ী করুন প্রচারে গৌরচন্দ্র মণ্ডল সভাধিপতি মালদহ জেলা পরিষদ উল্লেখ রয়েছে। এখানে প্রার্থীর নাম বা এই চিহ্নে ভোট দিন উল্লেখ নেই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিতর্ক এড়াতে এই ধরনের প্রচারের পোস্টার ছাপানো হলেও শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। এতেই সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার ঘিরে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।