সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
এদিন মোদিকে তুলোধোনা করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, বছরে দু’কোটি চাকরি ও কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ করার ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষকে জবাব দিতে পারছেন না তিনি। সুর আরও চড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, রাজনীতির শক্তি বড় প্রচার ও টিভি শো থেকে আসে না। গণতন্ত্রে মানুষই সবচেয়ে বড়। মানুষের সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানের ক্ষমতা থাকা উচিত। বিরোধীদের কথা শোনার মতো ক্ষমতা থাকা উচিত। কথা শোনার প্রসঙ্গ ছেড়ে দিন, এই প্রধানমন্ত্রী মানুষের প্রশ্নের জবাব পর্যন্ত দিতে জানেন না। মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। তিনি (মোদি) দুর্নীতি ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন কার নামে দুর্নীতির (রাফাল প্রসঙ্গে) অভিযোগ উঠছে? আমেথিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা এক মহিলার নামে ৩৫ হাজার টাকার বিল এসেছে। অন্য এক ব্যক্তির নামে এসেছে ৫০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল। তিনি প্রচারে সব কিছু গোপন করে যাচ্ছেন। মোদিজি আপনাদের কাছে এলে এসব নিয়ে তাঁর কাছে প্রশ্ন করুন। প্রিয়াঙ্কার দাবি, বড় শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু রাহুল গান্ধী যখন কৃষকদের ঋণ মকুব করতে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন টাকা নেই। কৃষকদের বিমার টাকাও দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী যদি এতটাই শক্তিশালী হন, তাহলে আপনাদের সমস্যাগুলির সমাধান কেন করতে পারেননি তার জবাব দেওয়া উচিত তাঁর। প্রতিটি ভাষণে তিনি পাকিস্তান নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু তাঁর সরকার কী করেছে, আগামী পাঁচ বছরে তিনি কী করবেন, সেটাও আপনাদের কাছে বলা উচিত। আপনাদের কারণে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আপনারাই আমাদের নেতা বানান। আমাদের থেকে অনেক বড় সাধারণ মানুষ। গোটা দেশ থেকে কৃষকরা দিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পাঁচ মিনিট চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কথা বলার মতো সময় প্রধানমন্ত্রীর ছিল না। এমনকী নিজের কেন্দ্র বারাণসীতেও পাঁচ বছর ধরে গ্রামের মানুষের সঙ্গে পাঁচ মিনিট দেখা করার সময় পাননি প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা কেমন আছেন, সমস্যা কী, এসব জানার চেষ্টাই করেননি।