সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
সিরসায় কংগ্রেস প্রার্থী করেছে দলের রাজ্য সভাপতি অশোক তানওয়ারকে। তাঁর সঙ্গে লড়াই হচ্ছে আইএনএলডি-র বর্তমান এমপি চরণজিৎ সিং রোহি ও বিজেপি প্রার্থী সুনীতা দুগ্গলের। দলীয় প্রার্থী তানওয়ারের সমর্থনে এদিন সিরসায় জনসভা করেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতির দাবি, এই মুহূর্তে দেশে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটা মোদির অবদান। প্রাথমিকভাবে তিনি মেক ইন ইন্ডিয়ার কথা বলেন। তারপর বলতে শুরু করেন স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, এরপর স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত পকোড়া ভাজার পরামর্শ দিয়ে শেষ করেন। উল্লেখ্য, গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে কর্মসংস্থান ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর এই পকোড়া ভাজার মন্তব্য নিয়ে গোটা দেশে শোরগোল তৈরি হয়েছিল। সেই মন্তব্য টেনে এনেই এদিন মোদিকে খোঁচা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি।
কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পাশাপাশি মোদির বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতির তোপ, তিনি (মোদি) যেখানেই যান, বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ে। হরিয়ানায় একটি সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে গিয়ে কারও নামে সমালোচনা করেন। মহারাষ্ট্রে গিয়ে তিনি উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলেন। একটি অঞ্চলের মানুষকে অন্য অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে লড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রাহুলের প্রশ্ন, গত পাঁচ বছরে কী করেছেন তা জানতে চাই। দেশকে কী দিয়েছেন সেটা বলুন।
মোদিকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি সিরসার সভা থেকেও কংগ্রেসের প্রস্তাবিত ‘ন্যায়’ প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন রাহুল গান্ধী। তাঁর ফের দাবি, গরিব পরিবারকে বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়ার এই খরচ মধ্যবিত্ত মানুষের উপর কর চাপিয়ে তোলা হবে না। বরং তা আসবে মোদির কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া ধনী শিল্পপতিদের পকেট থেকে।
হরিয়ানার পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের সভা থেকেও মোদি সরকারকে তুলোধোনা করেন কংগ্রেস সভাপতি। বিনার একটি নির্বাচনী সভা থেকে রাহুল বলেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তিনি (মোদি) চাকরি, কৃষকদের সমস্যা, ১৫ লক্ষ টাকা (প্রতিটি নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে) ও আচ্ছে দিন নিয়ে কিছু বলতে পারছেন না। তিনি শুধুমাত্র অতীত হাতড়াতে পারেন। মোদিজি, পাঁচ বছর আগে ভারত আপনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিল। অন্যরা কী করেছেন, আপনার কাছ থেকে দেশ তা বুঝতে চায় না। আপনি কী করেছেন ও কী করবেন, ভারত সেটা জানতে চাইছে আপনার কাছ থেকে।