সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
বোদাই শিল্পতালুকে শতাধিক কারখানা রয়েছে। কয়েক মাস আগে ওই শিল্পতালুকে একটি কারখানায় আগুন লেগে পাঁচজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। কারখানার সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ একটি গেঞ্জি কারখানায় আগুন লাগে। রাত দুটো নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই কারখানার আশপাশে আরও দু’টি গেঞ্জি কারখানা ছিল। আশপাশের বড় কোনও কারখানা না থাকলেও গেঞ্জি কারখানার পাশে বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে পাশের দু’টি কারখানাতে আগুন ধরে যায়। আশপাশের পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আশপাশের এলাকার মানুষও আগুন জ্বলতে দেখে ছুটে আসেন।
খবর পেয়ে প্রথমে চারটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু, পরপর তিনটি কারখানায় আগুন ধরে যাওয়ায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। তারপর দফায় দফায় ১৭টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এমনিতেই গরমে ঘরের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থা। খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘরের মধ্যে ঘুমোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আচমকা বাড়ির বাইরে চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তখনও দমকল আসেনি। কয়েকজন মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু, আগুন দ্রুত বেড়েই চলেছে। কারখানা থেকে কিছুটা দূরেই আমাদের বাড়ি। ফলে, আমাদের বাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সে কারণে আমরা সকলেই ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসি। আগুন নিভলেও সকাল পর্যন্ত খুব আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম।
বিলকান্দা-১ পঞ্চায়েতের প্রধান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, বাঁশ আর টিনের ছাউনি দিয়ে তিনটি কারখানার পরিকাঠামো তৈরি করা ছিল। সব মিলিয়ে জনা পঞ্চাশ কর্মী সেখানে কাজ করতেন। কারখানার ভিতরে দাহ্য পদার্থ, ডাঁই করে গেঞ্জির কাপড় মজুত থাকায় আগুন সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। তিনটি কারখানার কোনও কিছু অবশিষ্ট নেই। ১৭টি দমকলের ইঞ্জিন এসে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজে হাত না লাগালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করত। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কারখানার ট্রেড লাইসেন্স ছিল? তিনি বলেন, ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।