সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
বৃহস্পতিবার মোদির ওই মন্তব্যের পাল্টা দিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ভাইস অ্যাডমিরাল বিনোদ পসরিচার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস। পাসরিচা সাফ জানিয়ে দেন, আইএনএস বিরাটে সরকারি কাজেই গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সেটা কোনও ব্যক্তিগত সফর ছিল না। এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘মোদিজি বলে দিলেন, ৩০ বছর আগে রাজীব গান্ধী আইএনএস বিরাটে করে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর এই মিথ্যাচার নৌবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ আমলাই ফাঁস করে দিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সরকারি কাজে গিয়েছিলেন, ছুটি কাটাতে নয়। আসলে মোদিজির কাছে ঘটনা গুরুত্ব পায় না বিশেষ একটা।’
এরপরই মোদির বিরুদ্ধে বায়ুসেনার বিমান ব্যবহার নিয়ে আক্রমণ শানান কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, ‘শুধু মিথ্যা কথা। মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করাটাই মোদির একমাত্র শক্তি।’ এরপরই একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরেন সুরজেওয়ালা। তথ্য জানার অধিকার আইনে এক প্রশ্নের জবাবকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ক্ষমতায় আসার পর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দেশের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির ২৪০টি বেসরকারি সফরের জন্য ভারতীয় বায়ুসেনাকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছে বিজেপি। মোদিকে সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, ‘আইএনএস বিরাটকে নিয়ে বলার আগে আপনি নিজের দিকে তাকান। ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানগুলিকে তো আপনি নিজস্ব ট্যাক্সি বানিয়ে ফেলেছেন। ভোটের বাজারে বায়ুসেনার বিমান ব্যবহারের জন্য আপনি তো আরও কম টাকা দিচ্ছেন। রিপোর্ট বলছে, ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি বোলাঙ্গির থেকে পাথরচেরা গিয়েছিলেন মোদিজি। আর সেটার জন্য বিজেপি বায়ুসেনাকে দিয়েছে মাত্র ৭৪৪ টাকা!’
আইএনএস সুমিত্রাতে অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফরও এই প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজিস্ট দিব্যা স্পন্দন এদিন ট্যুইট করেন, ‘কানাডার বাসিন্দা অক্ষয় কুমারকে সঙ্গে নিয়ে আইএনএস সুমিত্রায় সফর! এমনকী নৌসেনা প্রধান এবং অন্যান্য ভিভিআইপিদের সঙ্গে আইএনএস সুমিত্রার মতো প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ট কিছুক্ষণ চালালেনও অক্ষয় কুমার। এটা কি ঠিক হল নরেন্দ্র মোদি?’