Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অনেক
সংশোধন প্রয়োজন 
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

ভারতীয় সংবিধান রচয়িতারা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান প্রদত্ত পূর্ণ স্বাধিকার দিয়েছিল। সংবিধানের ৩২৪নং ধারা বলে লোকসভা নির্বাচনে তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নির্বাচনের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখবার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে। পাশাপাশি ভারতীয় সংসদ ১৯৫০ এবং ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন প্রণয়ন করে নির্বাচন পরিচালনার পূর্ণ আইনগত এক্তিয়ার নির্বাচন কমিশনের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় এই জনপ্রতিনিধিত্ব আইন দু’টি বারবার সংশোধন করে আরও সময়োপযোগী করা হয়েছে। যাতে করে উদ্ভূত নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কমিশন সফল হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের এমন একাধিক বিষয় একের পর এক উঠে আসছে যা চলমান নির্বাচনী আইনের মাধ্যমে কমিশন মোকাবিলা করতে পারছে না। এর মধ্যে রাজনৈতিক নেতৃবর্গের ভাষণ-সংক্রান্ত বিষয় যেমন রয়েছে, তেমনি ডামি প্রার্থীর এজেন্ট দিয়ে বুথ দখলের বিষয় রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত তথ্য প্রদান, ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক খবর পরিবেশন, অর্থের বিনিময়ে খবর পরিবেশন যেমন রয়েছে, তেমনি কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের শাসক দলের সংবাদ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী, পর্যবেক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রার্থীর আয়-ব্যয় হিসাব পরীক্ষা—এই সমস্ত কিছুকে নতুনভাবে বিচার করার প্রয়োজন রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই স্পষ্ট আইন থাকা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যে ধরনের হিংসাত্মক বা প্ররোচনামূলক বক্তৃতা করছেন তা আটকাতে গেলে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। বর্তমান আইনে প্রার্থীকে কারণ দর্শাবার নোটিস দেওয়া যায়। সন্তুষ্ট না-হলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা যায়। যদিও অভিজ্ঞতা বলছে, নির্বাচন একবার শেষ হয়ে গেলে সেই সমস্ত মামলার তেমন আর গুরুত্ব থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে মামলাগুলিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে নির্বাচন আধিকারিকরা তৎপর হন না। তবে সুপ্রিম কোর্টের বকুনি খেয়ে নির্বাচন কমিশন তৎপর হয়ে একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ২৪-৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রচারে অংশ নেবার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই সমস্ত নেতার মধ্যে রয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী প্রমুখ। এঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের নির্বাচনী ভাষণে আদর্শ আচরণবিধি ভেঙে বক্তৃতা করেছিলেন।
নির্বাচন ঘোষণাকালে কমিশন জানিয়েছিল নির্বাচনী প্রচারে সেনা বাহিনীর ছবি, সেনা পোশাক, সেনা বাহিনীকে নিয়ে বক্তৃতা করা যাবে না। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সমেত একাধিক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে পুলওয়ামার ঘটনা সামনে এনে সেনা বাহিনীকে নির্বাচনে ব্যবহার করতে তাঁদের দেখা গেছে। বিরোধীদের তরফ থেকে বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালেও কমিশন কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত আইএস অফিসার এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা ভারতের রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই প্রাক্তন আধিকারিকরা রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করতে আবেদন জানিয়েছেন।
নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবল রাজনৈতিক তরজা চলছে। বিরোধীরা যখন রাজ্য পুলিসকে সরিয়ে রেখে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচন চাইছে, তখন রাজ্যের শাসক দল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে। রাজ্যের অনেক মন্ত্রী রাজ্য পুলিসের নিয়ন্ত্রণে লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য সওয়াল করেছেন। তৃণমূল আবার, অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের যেভাবে এরাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাস্তবে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২০(৩) ধারায় পর্যবেক্ষক হিসাবে সরকারি আধিকারিকের নিয়োগের কথা বলা হলেও সেই আধিকারিক কর্মরত অবস্থায় থাকবেন, না অবসরপ্রাপ্ত হলেও হবে আইনে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনও উল্লেখ নেই। এক্ষেত্রেও জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সংশোধন প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গের অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষ করে রাজ্যের শাসক দল প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থীর পাশাপাশি একাধিক ডামি প্রার্থী দিয়ে ভোটের দিনে বুথে দলীয় লোকজন বাড়িয়ে ভোট প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর থাকছে। এতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। ডামি প্রার্থীদের শনাক্ত করা এবং তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার মতো আইনি ভিত্তি নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। এ বিষয়েও নতুন আইন তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্বাচন কমিশনের আছে বলে মনে হয় না। জেলাস্তর পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার মনিটরিং কমিটির সদস্যদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং মনিটরিংয়ের জন্য উপযুক্ত সুব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। বিদেশিদের দ্বারা প্রচার এই নির্বাচনে অন্যতম বিতর্কিত বিষয় হিসাবে উঠে এসেছে। উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের প্রচারে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরদৌসের রোড শো বা দমদম লোকসভায় টেলিভিশনের বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেতা নুর গাজির তৃণমূলের প্রচারে যোগদান বা যাদবপুর লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মার্কিন কুস্তিগির গ্রেট খালির অংশগ্রহণকে নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গ্রেট খালি ওরফে দলীপ সিং রানা হিমাচল প্রদেশের এক গ্রামে জন্মেছিলেন। পাঞ্জাব পুলিসের আধিকারিক হিসাবে কর্মরতও ছিলেন। কিন্তু, পরবর্তীতে দলীপ সিং রানা ডব্লুডব্লুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন। এবং, ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নেন। পরবর্তী সময়ে ভারত সরকার তাঁকে ওভারসি সিটিজেনশিপ প্রদান করেন। ওসিআই-এর অর্থ হল, আজীবন ভিসা এবং এক প্রকার দ্বৈত নাগরিকত্ব বলা যায়। এঁরা যতদিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারেন কিন্তু ওসিআই আইনে স্পষ্ট করে বলা আছে, তাঁরা এ-দেশের ভোটার হতে পারবেন না, এবং রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়া সরকারি পদ পাবেন না ও কৃষিজমি ক্রয় করতে পারবেন না। গ্রেট খালি যেহেতু ওসিআই-প্রাপ্ত নাগরিক তাই তাঁর অধিকার নেই ভারতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবার। অথচ, তিনি যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন যা আইনত তিনি পারেন না। এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও, কমিশন কোনও ব্যবস্থা নিয়ে উঠতে পারেনি। কমিশনের আচরণে দিশাহীনতার ছাপ স্পষ্ট। উত্তর দিনাজপুরে ফিরদৌসের প্রচার বা কামারহাটিতে নুর গাজির প্রচারে ইতি টানতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্রুত তাঁদের ভিসা বাতিল করে এই দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল, নির্বাচন কমিশনের এক্ষেত্রে ভূমিকা আরও সুনির্দিষ্ট থাকা প্রয়োজন। নির্বাচনী বিধিতে কোথাও বিদেশিরা প্রচার করতে পারবে না এমন কোনও বিধি নেই। আইনের এই ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিদেশিদের প্রচারে লাগিয়েছিল। এক্ষেত্রে আদর্শ আচরণবিধিতে স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকা প্রয়োজন যাতে করে আগামী দিনে কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রচারে বিদেশিদের ব্যবহার করতে না-পারে। বিষয়টি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সংহতির পক্ষে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আজ বিদেশি অভিনেতারা ব্যবহৃত হলে, কাল কাশ্মীরের নির্বাচনে সীমানার ওপার থেকে কোনও জঙ্গি সংগঠনের নেতাকে নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই সমস্ত ক্ষেত্রেই উদ্ভূত অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রয়োজন নির্বাচনী সংস্কার সাধনের জন্য বহু ক্ষেত্রে স্পষ্ট এবং শক্তিশালী আইন প্রণয়নের, না-হলে এবারের নির্বাচনে কমিশনকে যেভাবে দিশাহীন দেখা গেল, সেই ধারায় পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। আগামীতেও প্রয়োজন রয়েছে সর্বভারতীয় রাষ্ট্র কৃত্যক পরিষেবা (All India Service) অনুরূপ সর্বভারতীয় নির্বাচন পরিষেবার। তবেই কমিশনের পক্ষে নির্বাচনের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সম্ভব।
 লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
10th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া
এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

রাজনীতির পাঁকে সরকারের
উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা
শুভময় মৈত্র

দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। কেউ কেউ বড্ড বেশি যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তারপর সেখানে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে। নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় যোগ দিতে হচ্ছে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে। ভোটপ্রচারে তাঁদের মুখ ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে এমন সব ভাষা যা একেবারে রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকেই শেখা।
বিশদ

মোদিময় রাজনীতিতে
নয়া পাঠ ‘বাণপ্রস্থ কথা’
মৃণালকান্তি দাস

তাঁর বাড়িতে পা দিলেই চন্দনকাঠের একটা মূর্তিতে চোখ পড়বেই। তাতে অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ। তার পিছনে মহাভারতের টুকরো নানা ছবি। শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মও। বিজেপিতে আদবানিকে ভীষ্ম পিতামহের সঙ্গে তুলনা করা হয়। নিজের হাতে তৈরি দলে যেভাবে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, তাকে কি তাঁকে আজ ভীষ্মের সেই শরশয্যার সঙ্গে তুলনা করা যায়?
বিশদ

10th  May, 2019
নরেন্দ্র মোদি মেজাজ হারাচ্ছেন কেন?
শুভা দত্ত

 নরেন্দ্র মোদির রাজনীতি নিয়ে অনেকের ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু তাঁর সৌজন্যবোধ নিয়ে এ যাবৎ কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। ২০১৯-এর ভোটপর্ব যখন শেষ পর্যায়ে, তখন তিনি মেজাজ হারিয়ে একেবারে রাহুল গান্ধীর প্রয়াত পিতার নামে নিন্দা করে বসলেন। এভাবে তিনি ভদ্রতার সীমা ছাড়ালেন।
বিশদ

09th  May, 2019
কেন্দ্রে শক্তিক্ষয়, রাজ্যে শক্তিবৃদ্ধি—
সম্ভাবনার বিচিত্র জল্পনায় মুখর বঙ্গ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 বিশেষ করে বিষয় যখন দেশের ক্ষমতা দখলের ভোট-মহারণ সঙ্গে বাংলায় জোড়া ফুলের ৪২-এ ৪২-এর ডাক, আর সে মহাসংগ্রামে দুই প্রধান প্রতিপক্ষের নাম মোদি-মমতা— তখন পায় কে! একেবারে রসিয়ে কষিয়ে গরমে নরমে যুক্তি অযুক্তি কুযুক্তির কড়া পাকে পাহাড় থেকে সাগর জঙ্গলমহল থেকে যাদবপুর যাকে বলে জল্পনা-কল্পনার একটা উৎসবই যেন শুরু হয়ে গেছে।
বিশদ

09th  May, 2019
তাহলে, হাওয়া এবার কোন দিকে?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে মোট সাত দফা ভোটগ্রহণের পাঁচটি দফাই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যেও। বাকি দুটি দফায় মাত্র ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। যদিও ওইসব কেন্দ্রের ভোট বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বের বিচারে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
বিশদ

07th  May, 2019
রাজনীতির পাঁকে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা
শুভময় মৈত্র

 দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন অনেক সময়। কেউ কেউ বড্ড বেশি যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তারপর সেখানে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক সময় চাকরিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে।
বিশদ

07th  May, 2019
ইরান-মার্কিন দ্বন্দ্ব
তেলসংকটের মুখে ভারত 
গৌরীশঙ্কর নাগ

গত ২২ এপ্রিল ইরান থেকে তেল আমদানির ওপর আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার ফলে ২ মে থেকে ভারতসহ ৬টি রাষ্ট্র (চীন, ইতালি, গ্রিস, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও তুর্কি) ফের অসুবিধার মুখে পড়তে চলেছে।  বিশদ

06th  May, 2019
আমাদের কি ‘সাচ্চে দিন’
আসতে পারে না?
পি চিদম্বরম

আমার সামনে ১ মে তারিখের একটি ইংরেজি দৈনিক কাগজ রয়েছে। চলতি নির্বাচনের রকমারি খবর পড়ছি। নজরকাড়া শিরোনামের একটি ‘স্টোরি’ পড়লাম: ‘লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নেই, সেই দল প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার স্বপ্ন দেখে: মোদি’। নরেন্দ্র মোদি লখনউ এবং মজফ্ফরপুরে যে ভাষণ দিয়েছেন তার গুরুত্বপূর্ণ অংশের বিস্তারিত বিবরণ ওই রিপোর্টে রয়েছে।  বিশদ

06th  May, 2019
মোদিকে ঘিরে বিরোধীদের ইস্যুহীন লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের সাধারণ নির্বাচন আরও একবার দারুণভাবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এবং সেই ব্যক্তিকে ঘিরেই গোটা দেশে গড়ে উঠছে আশা-নিরাশার এক অদ্ভুত দোলাচল। বিরোধীদের যাবতীয় মরণ-কামড়ও। এই লোকসভা নির্বাচনে তিনিই ওয়ান ম্যান আর্মি।
বিশদ

05th  May, 2019
ফণী: বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতিতে ফুল মার্কস মমতাকে
শুভা দত্ত 

প্রকৃতির রোষ ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষের নেই। ঝড়ঝঞ্ঝা, বজ্র-বিদ্যুৎ, ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দাপটের কাছে সত্যি বলতে কী—আজও মানুষ অসহায়। অবশ্য, আধুনিককালে বিজ্ঞানের বলে মানুষ প্রকৃতির ওই দাপটের হাত থেকে আত্মরক্ষার অনেক কলাকৌশলও আয়ত্ত করেছে।  
বিশদ

05th  May, 2019
রাজ্যে জাতপাতের রাজনীতির
গুরুত্ব কি বাড়ছে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 জাতপাতের রাজনীতি কি পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে? রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারে ও প্রার্থী নির্বাচনে যতটা জাতপাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে বাস্তবে ইস্যুটি ততটা প্রাসঙ্গিক কি? স্বাধীনতার পর সর্বজনীন ভোটাধিকারের স্বীকৃতি ভারতীয় সমাজে বহু শতক ধরে চলা জাতব্যবস্থায় নতুন গতি এনেছে।
বিশদ

04th  May, 2019
একনজরে
সৌম্যজিৎ সাহা, জামশেদপুর, ১০ মে: জামশেদজি টাটার নামকরণেই শহর। কিন্তু এই শহরের কারিগর কে জানেন? একজন বাঙালি। পি এন বোস। ছিলেন একজন ভূতত্ত্ববিদ। তাঁর অবদানকে সম্মান জানিয়ে এই শহরে একটি মূর্তিও বসানো আছে। জন্মলগ্নের পর থেকেই এ শহর ধীরে ধীরে ...

 রূপাঞ্জনা দত্ত, লন্ডন, ১০ মে: অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর হামলায় মৃত্যু হল এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনের কাছে বার্কশায়ারের স্লাও এলাকায়। নিহত ওই যুবকের নাম ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া একব্যক্তির মৃতদেহ বালুরঘাট হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে এসে বিপাকে পড়ে একটি দরিদ্র পরিবার। মৃত ব্যক্তির নাম বাবুলাল চৌধুরী(৫৫)। তাঁর বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার গচিহারে।  ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা
১৯০৪: ১৯০৪ - স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির জন্ম
১৯১৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্তকুমার বিশ্বাসের জন্ম।
১৯১৬: আপেক্ষিকতাবাদের উপস্থাপনা আইনস্টাইনের
১৯৮৪: স্পেনের ফুটবলার আন্দ্রে ইনিয়েস্তার জন্ম
১৯৯৮: পোখরানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করল ভারত
২০১৬: বাগদাদে আইএসের হামলায় হত শতাধিক



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.১৯ টাকা ৭০.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৫৭ টাকা ৯২.৮২ টাকা
ইউরো ৭৭.১৮ টাকা ৮০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৩২০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৬৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,১২৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
10th  May, 2019

দিন পঞ্জিকা

২৭ বৈশাখ ১৪২৬, ১১ মে ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৬/৪৫ রাত্রি ৭/৪৫। পুষ্যা ২০/২৭ দিবা ১/১৩। সূ উ ৫/২/৩২, অ ৬/৩/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৩ মধ্যে পুনঃ ২/৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৫ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে উদয়াবধি। 
২৭ বৈশাখ ১৪২৬, ১১ মে ২০১৯, শনিবার, সপ্তমী ৩৪/৪৭/৪১ রাত্রি ৬/৫৮/৭। পুষ্যানক্ষত্র ১৯/২৭/১৬ দিবা ১২/৪৯/৫৭, সূ উ ৫/৩/৩, অ ৬/৪/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/৫২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে, বারবেলা ১/১১/৩৩ গতে ২/৪৯/১৫ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪০/৪৫ মধ্যে ও ৪/২৬/৫৭ গতে ৬/৪/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২৬/৫৭ মধ্যে ও ৩/৪০/৪৫ গতে ৫/২/৩০ মধ্যে। 
৫ রমজান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: শেয়ার বা ফাটকাতে লাভ হবে। বৃষ: বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ থাকবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা১৯০৪: ১৯০৪ ...বিশদ

07:03:20 PM

পাকিস্তানের একটি পাঁচতারা হোটেলে ৩ বন্দুকবাজের হামলা, চলছে গোলাগুলি

07:18:04 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুলে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী বাস, মৃত ১৩, জখম বেশ কয়েকজন 

06:18:00 PM

বাইক বাহিনী ও বহিরাগতদের দাপাদাপি রোখার দাবিতে বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের অবস্থান বিক্ষোভ 

05:05:00 PM

উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক তুষারপাত

04:55:00 PM