শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মুম্বই প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান মিলিন্দ দেওরা এবং সঞ্জয় নিরুপমকে সঙ্গে নিয়ে এদিন দুপুরে দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বাড়িতে আসেন ঊর্মিলা। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঊর্মিলা জানান, সক্রিয় রাজনীতি করতেই তিনি কংগ্রেসে এসেছেন। তিনি কংগ্রেসের আদর্শে বিশ্বাসী। লোকসভা ভোটের আগে বলিউডের অধিকাংশ অভিনেতা-অভিনেত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠতা পেতে আগ্রহী। সেখানে ৪৫ বছরের উর্মিলার কংগ্রেসে যোগদান বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহলের মত। অবশ্য বলিউডের সঙ্গে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠতা এই প্রথম নয়। সুনীল দত্ত, রাজেশ খান্না, অমিতাভ বচ্চন থেকে গোবিন্দা, সকলেই কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। ঊর্মিলাও ভোটে লড়বেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিনেত্রীর বক্তব্য, তিনি টিকিটের লোভে কংগ্রেসে আসেননি। ছোট থেকেই মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ তাঁকে প্রভাবিত করে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে কংগ্রেসের অবদান তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। আর তাছাড়া, বর্তমান যুগে রাহুল গান্ধীর মতো নেতার একান্ত প্রয়োজন। রাহুল একার কাঁধে একটি দলকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। রাহুলের অনুপ্রেরণায় এদিন তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখলেন। একইসঙ্গে বলেন, গত পাঁচ বছরে দেশে বাক স্বাধীনতা বিপন্ন। মানুষ স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না। সামাজিক সচেতনতা থেকেই তাঁর কংগ্রেসে যোগদান।
১৯৮৩ সালে ‘মাসুম’ ছবির হাত ধরে সিনেমা জগতে শিশুশিল্পী হিসেবে পা রাখেন ঊর্মিলা। তবে, ১৯৯৫ সালের ‘রঙ্গিলা’ তাঁকে বলিউডের শীর্ষে নিয়ে যায়। এদিন সাংবাদিকদের ঊর্মিলা বলেন, সিনেমার তারকারা রাজনীতিতে এসে গ্ল্যামার দিয়ে ভোটার টানেন। আমার ক্ষেত্রে এই ধারণা খাটে না। আমি মাঠে ময়দানে নেমে সক্রিয় রাজনীতি করতে চাই। মুম্বই কংগ্রেসের প্রধান হওয়ার পর এই প্রথম দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন মিলিন্দ দেওরা। তিনি জানান, বহু বছর ধরে আমি ঊর্মিলাজিকে চিনি। উনি একজন অসাধারণ অভিনেত্রী। কিন্তু শুধু অভিনয় সত্তা দিয়ে ঊর্মিলাকে চেনা ঠিক নয়। উনি সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে রীতিমতো সচেতন। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ঊর্মিলাকে নাড়া দেয়।
আগামী ২৯ এপ্রিল মুম্বইয়ের ছ’টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। যদি ঊর্মিলা উত্তর মুম্বই থেকে মনোনীত হন, তাহলে তাঁর লড়াই হবে বিজেপি প্রার্থী গোপাল শেট্টির সঙ্গে। এই আসনেই ২০০৪ সালে অভিনেতা গোবিন্দা পরাজিত করেন প্রাক্তন পেট্রলিয়াম মন্ত্রী রাম নায়েককে।