শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি, ২৫ মার্চ: ক্ষমতায় এলে গরিব পরিবারের ন্যূনতম উপার্জন মাসে ১২ হাজার টাকা সুনিশ্চিত করবে কংগ্রেস। আজ একথা ঘোষণা করলেন রাহুল গান্ধী। সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পৌঁছে যাবে। কোনও পরিবার যা আয় করে, তা যদি মাসে ১২ হাজার টাকার কম হয়, তবে বাকিটা সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে পূরণ করে দেওয়া হবে। জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি। বললেন, গরিবি হটাবই। যদিও রাহুল গান্ধীর ওই ঘোষণায় দিনভর বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। বিজেপি নেতা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, এই ঘোষণা ধাপ্পাবাজি। ভোট জিততে গরিবি হটানোর নামে কংগ্রেস বরাবরই রাজনীতি করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রশ্ন উঠেছে, গরিব পরিবারের আয় সব মাসে একই হয় না। তাহলে কীভাবে তার হিসেব রাখা হবে? গরিব বলতেই বা কারা? কেবল তাই নয়। রাহুল গান্ধী একদিকে যখন গরিব পরিবারের মাসিক ন্যূনতম উপার্জন ১২ হাজার টাকা করতে চাইছেন বলে ঘোষণা করছেন, তখনই একইসঙ্গে তিনি এও বলছেন, প্রত্যেক গরিব পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বছরে ৭২ হাজার টাকা পৌঁছে যাবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মাসে ১২ হাজার টাকা কোনও পরিবারের আয় হলে বছরে তা হয় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। তাহলে কোন হিসেবে তা ৭২ হাজার টাকা হচ্ছে?
প্রশ্ন করায় রাহুল বলেন, এর মধ্যে বিভ্রান্তির কিছু নেই। আমরা অনেক হিসেব নিকেশ করেই এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তিনি বলেন, গড়ে মাসে গরিব পরিবারের ছ’ হাজার টাকা আয় হয় বলে একটি প্রাথমিক হিসেব হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা আশ্বাস দিচ্ছি বাকি টাকাটা সরকার দেবে। এই হিসেবের ভিত্তিতেই বছরে ৭২ হাজারের অঙ্কটি বলা হয়েছে বলে জানিয়ে দেন রাহুল। সেই সঙ্গে বললেন, ‘গরিবি হটাবই।’
৪৮ বছর পর প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী তথা ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর জনপ্রিয় স্লোগান ফিরিয়ে আনলেন রাহুল। নরেন্দ্র মোদি সরকার ‘পিএম-কিষাণ’ প্রকল্পে দু’হেক্টর পর্যন্ত গরিব জমির মালিককে বছরে ছ’ হাজার টাকা দেওয়া শুরু করেছে। একইভাবে রাহুল গান্ধীও গরিবদের মন জয় করতে চাইছেন। দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে যার নাম দেওয়া হচ্ছে ‘ন্যায়।’ ভোটের এই প্রতিশ্রুতিকে গোটা পৃথিবীর অন্যতম চমকপ্রদ প্রকল্প বলেই আজ দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী। আজ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ‘ন্যায়’ প্রকল্পে সায় মিলেছে। বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির ফের ক্ষমতায় আসা রুখতে দলের নির্বাচনী ইস্তাহারকে অন্যতম হাতিয়ার করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। সেই মতো ন্যায় প্রকল্পে জোর দেওয়া হচ্ছে। বৈঠকের শেষে রাহুল বলেন, একবিংশ শতাব্দীতেও ভারতে কেউ গরিব থাকতে পারে, ভাবলে খারাপ লাগে। তাই দেশের গরিবদের স্বচ্ছল করতে ক্ষমতায় এলে ন্যূনতম উপার্জন নিশ্চিত করব।
রাহুল বলেন, এর আগে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১৪ কোটি মানুষকে গরিবি রেখার বাইরে এনেছে কংগ্রেস। এবার ক্ষমতায় এসে ‘ন্যায়’ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ কোটি পরিবারকে গরিবি রেখার বাইরে নিয়ে আসব। রাহুল বলেন, আমরা কোনও মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিই না। তিন রাজ্যে ক্ষমতায় এসে কৃষি ঋণ মকুব করে তার প্রমাণও দিয়েছি। একইভাবে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেও গরিবি হটাব।
প্রশ্ন উঠেছে, গরিব পরিবারের আয় সব মাসে একই হয় না। তাহলে কীভাবে তার হিসেব রাখা হবে? গরিব বলতেই বা কারা? কেবল তাই নয়। রাহুল গান্ধী একদিকে যখন গরিব পরিবারের মাসিক ন্যূনতম উপার্জন ১২ হাজার টাকা করতে চাইছেন বলে ঘোষণা করছেন, তখনই একইসঙ্গে তিনি এও বলছেন, প্রত্যেক গরিব পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বছরে ৭২ হাজার টাকা পৌঁছে যাবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মাসে ১২ হাজার টাকা কোনও পরিবারের আয় হলে বছরে তা হয় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। তাহলে কোন হিসেবে তা ৭২ হাজার টাকা হচ্ছে?
প্রশ্ন করায় রাহুল বলেন, এর মধ্যে বিভ্রান্তির কিছু নেই। আমরা অনেক হিসেব নিকেশ করেই এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তিনি বলেন, গড়ে মাসে গরিব পরিবারের ছ’ হাজার টাকা আয় হয় বলে একটি প্রাথমিক হিসেব হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা আশ্বাস দিচ্ছি বাকি টাকাটা সরকার দেবে। এই হিসেবের ভিত্তিতেই বছরে ৭২ হাজারের অঙ্কটি বলা হয়েছে বলে জানিয়ে দেন রাহুল। সেই সঙ্গে বললেন, ‘গরিবি হটাবই।’
৪৮ বছর পর প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী তথা ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর জনপ্রিয় স্লোগান ফিরিয়ে আনলেন রাহুল। নরেন্দ্র মোদি সরকার ‘পিএম-কিষাণ’ প্রকল্পে দু’হেক্টর পর্যন্ত গরিব জমির মালিককে বছরে ছ’ হাজার টাকা দেওয়া শুরু করেছে। একইভাবে রাহুল গান্ধীও গরিবদের মন জয় করতে চাইছেন। দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে যার নাম দেওয়া হচ্ছে ‘ন্যায়।’ ভোটের এই প্রতিশ্রুতিকে গোটা পৃথিবীর অন্যতম চমকপ্রদ প্রকল্প বলেই আজ দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী। আজ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ‘ন্যায়’ প্রকল্পে সায় মিলেছে। বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির ফের ক্ষমতায় আসা রুখতে দলের নির্বাচনী ইস্তাহারকে অন্যতম হাতিয়ার করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। সেই মতো ন্যায় প্রকল্পে জোর দেওয়া হচ্ছে। বৈঠকের শেষে রাহুল বলেন, একবিংশ শতাব্দীতেও ভারতে কেউ গরিব থাকতে পারে, ভাবলে খারাপ লাগে। তাই দেশের গরিবদের স্বচ্ছল করতে ক্ষমতায় এলে ন্যূনতম উপার্জন নিশ্চিত করব।
রাহুল বলেন, এর আগে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১৪ কোটি মানুষকে গরিবি রেখার বাইরে এনেছে কংগ্রেস। এবার ক্ষমতায় এসে ‘ন্যায়’ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ কোটি পরিবারকে গরিবি রেখার বাইরে নিয়ে আসব। রাহুল বলেন, আমরা কোনও মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিই না। তিন রাজ্যে ক্ষমতায় এসে কৃষি ঋণ মকুব করে তার প্রমাণও দিয়েছি। একইভাবে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেও গরিবি হটাব।
