শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
গত আগস্ট থেকে অশান্ত বাংলাদেশ। এ বিষয়ে কেন্দ্রের সমস্ত পদক্ষেপকেই প্রশাসনিক ও রাজনৈতিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কিছুদিন আগে তিনি বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাকে অশান্ত করতে বিএসএফ লোক ঢোকাচ্ছে। কেন্দ্রের ব্লু প্রিন্ট না থাকলে এটা হতো না।’ বাংলার পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার লক্ষ্যেই এমন পরিকল্পনা বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেই সূত্রে তিনি রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোন কোন জায়গা দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকানো হয়েছে, তা চিহ্নিত করতে। তাঁর ওই মন্তব্যের পর এই প্রথম সীমান্তবর্তী জেলায় যাচ্ছেন মমতা। ফলে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তিনি আর কী বার্তা দেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলে।
এই সফরে তিনি জেলায় জেলায় প্রান্তিক মানুষের হাতে জমির পাট্টা সহ একাধিক পরিষেবা তুলে দেবেন। সূত্রের খবর, ১০ হাজারের বেশি পাট্টা বিলি করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ার জেলাতেই চা বাগানে প্রায় আট হাজার পাট্টা বিলি হবে। সোমবার হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে মুর্শিদাবাদ পৌঁছবেন মমতা। যেখানে নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউটের মাঠে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি মালদহের উদ্দেশে রওনা হবেন। মঙ্গলবার মালদহের ডিএসএ মাঠে ওই জেলার পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। মালদহে খুন হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার দুলাল সরকার খুনের জন্য মমতার ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল জেলার পুলিস সুপারকে। এবার জেলা সফরে গিয়ে ওই ইস্যুতে মমতা কী বলেন, সেদিকেও সবার নজর রয়েছে। সূত্রের খবর, দুলালবাবুর স্ত্রী চৈতালি সরকারের সঙ্গে তিনি দেখাও করতে পারেন। মালদহ থেকে মঙ্গলবারই মমতা কপ্টারে সরাসরি পৌঁছবেন আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায়। পরের দিন আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। এই জেলা সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তিনি একাধিক নির্দেশ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সুভাষিণী ফুটবল গ্রাউন্ডে আলিপুরদুয়ারের মানুষের হাতে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।