পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
এর আগে একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে অনুমোদনহীন বিএড কলেজগুলিকে চিহ্নিত করে বাবাসাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়কে বিজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। নিজের মেয়েকে বিএড কলেজে ভর্তি করাতে গিয়ে অনিয়মের খোঁজ পেয়েছিলেন মামলাকারী। কলেজটি যেখানে থাকার কথা, সেই ঠিকানায় ছিল না। পরে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে একইরকম আরও ছ’টি কলেজের সন্ধান পান তিনি। অভিযোগ, কলেজগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন না নিয়েই ছাত্রছাত্রী ভর্তি নিচ্ছে।
এনসিটিই গাইডলাইন অনুযায়ী এসব কলেজ স্থাপন করা যায়। যাবতীয় মাপকাঠি ঠিক থাকলে রাজ্য সরকার কলেজ তৈরির জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেয়। তারপর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কলেজকে অনুমোদন দিতে হয়। কিন্তু এই কলেজগুলির ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশে জানিয়েছিল, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সর্বাধিক প্রচারিত একটি বাংলা ও ইংরেজি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং অনুমোদনহীন কলেজগুলির তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই মতো ৯৬টি কলেজের তালিকা প্রকাশ করা হয়, যেগুলির অনুমোদন ছিল না।
এরপর তালিকাভুক্ত একাধিক কলেজ পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এদিন মামলার শুনানিতে একাধিক কলেজের তরফে অভিযোগ করা হয়, সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া সত্ত্বেও অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী জানান, একাধিক কলেজের ফায়ার লাইসেন্স নেই। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, সমস্ত নথি ঠিক থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কলেজগুলিকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিতে হবে। যেসব নথি নিয়ে আপত্তি থাকবে, সেগুলি জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিলে পাকাপাকিভাবে অনুমোদন পাবে কলেজগুলি।