একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
ভিড় উপচে পড়েছে এদিন রাসমেলা ময়দানে। চোখে পড়ার মতো মহিলাদের উপস্থিতি। সব স্তরের মানুষের পাশাপাশি হাজারে হাজারে রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা মমতাকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন। মাঠজুড়ে ছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের (জিসিপিএ) হলুদ পতাকা, যা স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, মোদির সভায় একেবারেই চোখে পড়েনি। আর এদিন সভামঞ্চে মমতার পাশেই ছিলেন জিসিপিএ’র সাধারণ সম্পাদক বংশীবদন বর্মন। মোদির ‘প্রতিশ্রুতি’ পূরণ না হওয়ার হতাশায় সম্প্রদায়ের মানুষদের তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেওয়ারও আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ের ভোট। ওইদিন দেশের ১০১টি কেন্দ্রের সঙ্গে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন কোচবিহারের মানুষও। তাই সোমবার লাখো মানুষের উপস্থিতিতে এই কোচবিহার থেকেই বিজেপি পতনের ডাক দিলেন মমতা। মনে করিয়ে দিলেন, দেশের স্বাধীনতা বজায় রাখতে গেলে এই পদক্ষেপ প্রয়োজন। তাঁর কথায়, ‘এই নির্বাচন দেশ রক্ষার। সারা ভারত সেটা বুঝতে পারছে। আপনারাও বুঝুন। দেশবাসীকে যদি স্বাধীন রাখতে হয়, বিজেপিকে হটিয়ে দেশকে বাঁচান। মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও।’ তাঁর দাবি, এবার ক্ষমতায় এলে মানুষকে সকালে চায়ের সঙ্গে গোমূত্র খেতেও বাধ্য করবে বিজেপি। মানুষ কতক্ষণ ঘুমাবে, তাও ঠিক করে দেবে বিজেপি। স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবেন না রাজবংশী, আদিবাসী, সংখ্যালঘু, কামতাপুরী সম্প্রদায়ের মানুষ।
মমতা লাগাতার বলে আসছেন, পতন নিশ্চিত বুঝেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে জেল ভরানো হচ্ছে। আর এর প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে টানা ৫২ দিন অনশন করতেও তৈরি বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলার অগ্নিকন্যা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মোদির দুর্নীতির দাবির বিরুদ্ধেও এদিন সরব হয়েছেন মমতা। তাঁর সাফ কথা, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপেষু, তৃণমূল চোর নয়। আপনি বরং নিজেকে আয়নায় ভালোভাবে দেখুন।’ বিজেপিকে মাফিয়াদের দল আখ্যা দিয়ে তাঁর আক্রমণ, ‘ভেবেছিলাম আপনি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের কথা বলবেন। কিন্তু তার কিছুই আপনার মুখে শোনা গেল না। বাংলার দুর্নীতির কথা বললেন। কিন্তু পারবেন কি দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে? বাংলার সঙ্গে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির বিস্তারিত তথ্যও কিন্তু দিতে হবে তাতে।’ টুইট করেও তিনি বলেছেন, ‘মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করছে বিজেপি। ইভিএমে ৪৪০ ভোল্টের ঝটকায় এর জবাব দেবে জনগণ।’ এর পাশাপাশি তীব্র গরমে নির্বাচন করা নিয়েও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, ইভিএমের চিপ কোথা থেকে আসছে? তা প্রকাশ্যে আনতে অসুবিধা কোথায়? নিজস্ব চিত্র