পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
বহুদিন ধরেই এমনই সিদ্ধান্তের প্রতীক্ষায় ছিলেন অনেকেই। কারণ, মুখে বড় বড় কথা বললেও জ্ঞানপাপীর মতো ইচ্ছে খুশি মতো দোকান থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক কেনেন হাজার হাজার মানুষ। বিক্রিবাটা ভালোই বলে বেশিরভাগ দোকানদারও কড়াকড়ি করেন না। ফলে অ্যাজিথ্রোমাইসিন, অ্যামক্সিসিলিন ও ক্লাভুলানিক অ্যাসিড, ডক্সিসাইক্লিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, লিভোফ্লক্সাসিনের মতো অসংখ্য অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার চলছে। পরিবেশে দাপাদাপি করছে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট জীবাণুরা। চূড়ান্ত চেষ্টার পরও বহু রোগী সুস্থ হচ্ছেন না। কার্যকরী ওষুধের অভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে।
এদিকে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে পুরোপুরি সহমত নয় রাজ্যের ওষুধের দোকানদারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিসিডিএ)। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সজল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, উদ্দেশ্য মহৎ, সন্দেহ নেই। কিন্তু, এই কাজ করতে ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসারদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের যুক্ত করার কারণ দেখতে পারছি না। এতে দোকানদাররা ভীত হতে পারেন।
চতুর্থ প্রজন্মের ওষুধ ব্যবসায়ী সোমনাথ ঘোষ বলেন, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ায় বিপদে পড়ছি আমরাই। একাধিক ছোট দোকান মালিক জানিয়েছেন, সারাদিনে মোট অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির ৩০-৫০ শতাংশই হল ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ বা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই। তরুণ সরকারি কর্মী দেবজিৎ দেবগুপ্ত বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াকে ছেলেখেলার পর্যায়ে নামিয়ে এনেছি আমরা। তার খেসারত আমাদেরই দিতে হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।