শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ
পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের দ্বিতীয় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। সেই মতো ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি হেলথ সেন্টারের জন্য মিনার্ভা থিয়েটারের সামনে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। দেখা যায়, মাটির তলায় পুরসভার পানীয় জলের পাইপলাইন রয়েছে। রয়েছে সিইএসসির বিদ্যুতের লাইনও। পুরসভা নিজস্ব জলের লাইন স্থানান্তর করে। কিন্তু সিইএসসিকে বিদ্যুতের লাইন সরানোর কথা বললে তারা খরচ বাবদ সাত লক্ষ টাকা চেয়ে বসে। পুরসভার তরফে ওই টাকা মকুবের আবেদন করে চিঠি পাঠানো হয়।
পুরসভার দাবি, সিইএসসি নাছোড়বান্দা। তারা সেই চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি। তবে সিইএসসির ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘জয়েন্ট ইনসপেকশন হয়েছে। লাইন সরাতে একটা নির্দিষ্ট খরচ হয়। আমরা পুরসভাকে বিল পাঠিয়েছি। পুরসভার বিষয়গুলি অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকে। পুরসভা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’ যদিও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, একবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। পুরসভার জমির তলা দিয়েই সিইএসসির লাইন গিয়েছে। কেন সেটা সরাতে পুরসভা টাকা দেবে? একটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৩৫ লক্ষ বাজেট রয়েছে। সেখানে সাত লক্ষ টাকাই লাইন সরাতে দিয়ে দিলে আর কী বাকি থাকে! পুরসভা বিষয়টি নিয়ে ফের সিইএসসিকে চিঠি দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই টানাপোড়েনের মধ্যে ভুগতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। স্থানীয় দোকানদার সজল সাউ বলেন, ‘গোটা শীতকাল এভাবে মাটির ঢিবি টপকে যাতায়াত করতে হল। কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেলে কী হবে ভাবুন তো!’ স্থানীয় কাউন্সিলার তারকনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা গুরুতর সমস্যা। এই জটিলতা যত তাড়াতাড়ি কাটে, ততই ভালো। আশা করছি, এলাকাবাসীর ভোগান্তি মিটবে দ্রুত।’