ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
বিজেপির শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু বলেন, চণ্ডীতলা থেকে লিড বৃদ্ধি পরের কথা, আগে রাজ্যের শাসকদল চণ্ডীতলা জিতে দেখাক। সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে পালবদলের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের হুগলি জেলার সাধারণ সম্পাদক সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, যত রামধনু, সাম্প্রদায়িক জোট তৈরির চেষ্টা হয়েছে, ততই মানুষ তৃণমূলের পাশে এসেছে। ২০১৯ সালের রেকর্ড ভেঙে দেওয়াই এবারের লক্ষ্য। আইএফএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, চণ্ডীতলায় আমরাই নির্ণায়ক।
বলা হয়, গুচ্ছ সমৃদ্ধ জনপদের সমাহার চণ্ডীতলা। অনেকেই বলেন, মঙ্গলকাব্যের এক বিশিষ্ট কবি নতুন বসত গড়তে চণ্ডীতলার একাধিক জনপদকে ছুঁয়ে গিয়েছিলেন। ইতিহাস বলে, ১৯৭৭ থেকে বামেদের টানা চণ্ডীতলার বিজয় মিশন ১৯৯৬ সালে রুখে দিয়েছিলেন কংগ্রেসের আকবর আলি খোন্দকার। পরবর্তীতে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে লড়াই করা আকবরসাহেবের স্ত্রী ইতিমধ্যেই তিনবার চণ্ডীতলার বিধায়ক হয়েছেন। আর, চণ্ডীতলায় ২০১১ সালে পালাবদলের পরে তৃণমূলের ৪৫ শতাংশের একটি নিখাদ ভোটব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছিল। ২০১৯ সালে সেই ভোটব্যাঙ্কের দৌলতেই শ্রীরামপুর কেন্দ্রের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার ভোটের রেকর্ড লিড পেয়েছিলেন।
তার দু’বছর পরে ২০২১ সালের নির্বাচনে একটি অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৃণমূলের সামনে খাড়া হয়েছিল। সিপিএমের ভবিষ্যৎ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম চণ্ডীতলায় প্রার্থী হন। আইএসএফ নামের একটি সদ্যগঠিত দল ছিল তাঁর সঙ্গে। আবার কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কও ছিল। বাংলা চলচ্চিত্র তারকা দেবাশিস (যশ) দাশগুপ্তকে প্রার্থী করে বাজি খেলেছিল বিজেপিও। এর মধ্যে আইএসএফ-এর অঙ্কটিই ছিল বেশি জটিল। কারণ, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ভাঙার কাজটি সদ্যোজাত দলটি করবে, এমন সম্ভাবনা উস্কে গিয়েছিল। যদিও ফলাফলে দেখা যায়, বামেদের ঘর ভেঙে ভোট নিয়ে গিয়েছিল বিজেপিতে। আইএসএফের সমর্থনের পরেও সেলিমসাহেব ১৭ শতাংশই ভোট পেয়েছিলেন। আর ২০১৬ সালের থেকে দেড় শতাংশের কাছাকাছি ভোট বাড়িয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এবার আইএসএফ পৃথকভাবে লড়ছে। তাতে কতটা বদলাবে ফলাফল? রাজনৈতিক মহল বলছে, তার উপরই নির্ভর করবে রেকর্ড ভাঙার রেকর্ড চণ্ডীতলায় হবে কি না।