ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
গত পাঁচ বছর শহরের কোনও ওয়ার্ডেই কাউন্সিলার নেই। অপরিচ্ছন্ন শহরের তকমা ইতিমধ্যেই সেঁটে গিয়েছে হাওড়ার নামের সঙ্গে। সাফাইয়ের রুগ্নদশা, পানীয় জলের সঙ্কট, নিকাশির সমস্যা, সংযুক্ত এলাকায় রাস্তা ও আলো নিয়ে বিরক্ত নাগরিকরা। পুর ভোট নিয়ে শহরবাসীর জোরালো দাবি থাকলেও, রাজ্য-রাজ্যপালের দড়ি টানাটানিতে সেই নির্বাচন এখন বিশ বাঁও জলে। ফলে প্রশাসক বসিয়ে দিনের পর দিন চলছে রাজ্যের দু’নম্বর পুরসভা। একই অবস্থা বালি পুরসভারও।
ভোটারদের একাংশ বলছে, হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে এবার স্থানীয় ইস্যুই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রবীণ ভোটার বাসুদেব সরকার বলেন, বাম বা তৃণমূল হাওড়ার উন্নয়নের সদিচ্ছা কোনও আমলেই দেখিনি। সময়ের সঙ্গে নগরের পরিধি বেড়েছে। অথচ হাওড়া শহর ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। কলকাতা, সল্টলেক, নিউটাউনের মতো জায়গার সঙ্গে হাওড়ার পরিকাঠামোর আকাশ পাতাল তফাত। আরেক প্রবীণ চাঁপারানি দাস বলেন, একদম কাজ হয়নি, বলব না। কিছু কাজ হয়েছে। তবে দূরদর্শিতার অভাব। শহরে একটা ভালো সরকারি হাসপাতাল আছে? এই শহরকে আরও সুন্দর করা যেত। কিন্তু করবে কে? পাঁচ বছর হয়ে গেল, সামান্য পুরসভা ভোটই করতে পারল না সরকার। হাওড়ার বাসিন্দা কালীপদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এলাকা থেকে জঞ্জাল কোনওদিনই সময় মতো সরে না। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। পুরসভার ভোট তো হয় না, তাই ভোটার হিসেবে জবাব দেওয়ার জন্য লোকসভার ব্যালটখেই বেছে নিতে হবে। আমরা ধর্মের নামে নয়, সমস্যার নামে ভোট দেব।
একই সুরে সোচ্চার হাওড়ার সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দেশে মোদি সরকার তৈরি হলে নির্বাচন ব্যবস্থাটাই তুলে দেবে ওরা। রাজ্যের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। তৃণমূল সরকার তো হাওড়া ও বালিপুর সভার ভোটই করতে পারল না। মানুষ ইতিমধ্যেই তা প্রত্যক্ষ করেছেন। এর প্রভাব লোকসভা ভোটে পড়বে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতা অরূপ রায় বলেন, নির্বাচন হয়নি, এটা দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে করেনি, এমনটা নয়।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপর লোকসভা ভোট চলে এল। ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনার জন্য নির্বাচন করা যায়নি। ওদিকে, রাজ্যপাল বিলে সই না করায় পুরসভা নির্বাচন আটকে যায়। আমি সরকারের কাছে আবেদন করব, যাতে লোকসভা ভোটের পরেই পুরসভা নির্বাচন করা হয়।