আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
এই গরমে ঠান্ডা জলে স্নান বিষয়টি বেশ উপভোগ করছে সুন্দরবনের রাজারা। পাইপ দিয়ে জল ছিটিয়ে তাদের শরীর ভেজানোর সময় একটি জায়গায় চুপ করে বসে থাকে। বিরক্তি দেখায় না। গর্জনও করে না। যতক্ষণ স্নান করানো হয়, ততক্ষণ যেন বাধ্য ছাত্র।
এই সময় প্রাণীদের উপর বিশেষ নজর রাখতে হচ্ছে চিকিৎসক ও ঝড়খালির কর্মীদের। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও ওদের কোনও অনীহা দেখা যাচ্ছে না। কোনও অস্বাভাবিকতাও দেখা যায়নি। খাবারের পরিমাণও ঠিকঠাক রয়েছে। পশু চিকিৎসক আশুতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘সপ্তাহে ছ’দিন গড়ে ছয় থেকে আট কেজি করে মাংস প্রতিদিন এক বেলা করে দেওয়া হচ্ছে। কেউ খাবার নষ্ট করছে না। এই সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রচুর জল খেতে হয়। পশুদের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। তাই ওদের ঘরে জলের সঙ্গে ওআরএস মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
অন্যান্য চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই গরমে প্রাণীগুলি জল বেশি খাচ্ছে। তিনটি বাঘকেই ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’ দেওয়া হচ্ছে। এই ওষুধগুলি মূলত বাঘেদের স্ট্রেস ফ্রি রাখতে সাহায্য করবে। অন্যান্য সময় সোহম, সোহিনীদের খাবার দেওয়া হতো বিকেল বেলায়। কিন্তু এখন সময় বদলানো হয়েছে। বিকেলে বিচরণ কেন্দ্রে ঘোরাফেরা করে ঘরে ঢোকার পর এক ঘণ্টার মতো বিশ্রাম নেয় তারা। তারপর সন্ধ্যার দিকে মাংস দেওয়া হয়। বাঘেদের খাঁচা থেকে গরম হাওয়া বের করার জন্য এগজস্ট ফ্যান লাগানো রয়েছে। এর জন্য ঠান্ডা থাকছে ঘর। দিনের বেলা তিনটি বাঘই খাঁচার বাইরে ছায়ায় শুয়ে-বসে বেশি সময় কাটায়। সুযোগ পেলে বাথটাবে ডুবে থাকে দীর্ঘক্ষণ।