বিমা, শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে ধনাগমের যোগ। স্বামী, সন্তান ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্র এক প্রকার শুভ ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, টেলিগ্রাম অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ খুলছে প্রতারকরা। সেখানেই চাকরি টোপ দেওয়া হচ্ছে। তবে, অফিসে গিয়ে চাকরি করতে হচ্ছে না। বাড়িতে বসেই পার্ট টাইম জব। ওয়ার্ক ফ্রম হোম। যে কাজ দেওয়া হচ্ছে, তাও খুব সহজ। যেমন বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে গিয়ে ছবি ও ভিডিও লাইক করা, শেয়ার করা, বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেলের রিভিউ লেখা, বিভিন্ন তথ্য সংশোধন করা ইত্যাদি। ফলে সহজেই বাড়িতে বসে সেই কাজে ঢুকে পড়ছে বর্তমান প্রজন্মের বহু তরুণ তরুণী। কিন্তু, তারা চাকরির বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন না। কিছুদিন পরই শুরু হচ্ছে বিপদ।
পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে কাউকে কাউকে বেতনও দিচ্ছে। তারপরই অল্প সময়ে বেশি লাভের টোপ দিয়ে বিনিয়োগ করতে বলছে প্রতারকরা। বিনিয়োগের জন্য ওই অ্যাপে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। প্রতারকের কথা মতো টাকা দেওয়ার পরই সেই অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট দেখাচ্ছে। একইসঙ্গে প্রতিদিন কত টাকা সুদ জমছে তাও ভুয়ো ডিসপ্লে হচ্ছে। কিন্তু, যারা বিনিয়োগ করছেন তাঁরা ধরতেই পারছেন না। এর ফলে, ক্রমশ বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু, বিনিয়োগকারী টাকা তুলতে গিয়েই সকলে বুঝতে পারছেন, তাঁরা প্রতারণার শিকার। কারণ, অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট স্কোর, সুদ সমস্ত কিছু দেখালেও বাস্তবে কেউই টাকা তুলতে পারছেন না।
গত মার্চেই বিধাননগরের এক তরুণী টেলিগ্রাম গ্রুপে এই ধরনের চাকরি পেয়েছিলেন। তিনি ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছিলেন। কিন্তু, টাকা তুলতে গিয়ে বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গত ১৯ শে মার্চ তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিস ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধারও করেছে। তবে, শুধু ওই তরুণী একা নয়৷ রাজ্যজুড়ে একই প্রতারণার শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। পুলিস ও সাইবার বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ধরনের অফার পেলে ভালো করে যাঁচাই করে এড়িয়ে চলা উচিৎ। তা না হলেই এক মুহূর্তে হতে হবে সর্বস্বান্ত!