নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
সাইবার অপরাধীদের বাড়বাড়ন্তে প্রতিদিনই নতুন নতুন চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। সাইবার জালিয়াতরা প্রতিবারই কৌশল বদলে ফেলায় রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিসকে। তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে টাকা খোয়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে সম্বন্বয় না থাকায় আগেভাগে অ্যাকাউন্ট ব্লক করে টাকা বেরোনো আটকানো যাচ্ছে না। এক বিভাগ অন্য বিভাগের ঘাড়ে দায়িত্ব ঠেলে দেওয়ার সুযোগ নিচ্ছে সাইবার প্রতারকরা। একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা হাতাচ্ছে। এক একটি অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা ঢুকছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা জানার চেষ্টা করছিলেন কোথায় ফাঁক রয়েছে। তার চুলচেলা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে. আধিকারিকদের নজরে এসেছে, সাইবার অপরাধীদের অ্যাকাউন্ট ব্যাঙ্ক সরাসরি ফ্রিজ করতে পারেনা। পুলিসের অভিযোগ হলে তারা চিঠি দিলেই তবেই এটি সম্ভব হয়। এই ফাঁককেই ব্যবহার করছে জালিয়াতরা। অনায়াসে টাকা তুলে নিচ্ছে।
এই সমস্যা মোকাবিলায় কেন্দ্র ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম সেন্টার তৈরি করেছে। তারা বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিয়ে সারাক্ষণ চুলচেলা বিশ্লেষণ চালাচ্ছে। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট কার নামে খোলা, তার ঠিকানা কী তাই নিয়ে তথ্য জোগাড় করছে প্রতিনিয়ত। সেখান থেকেই সাইবার অপরাধীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ চালাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর সন্দেহভাজন লেনদেন দেখলেই সেটিকে চিহ্নিত করে ওই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য ব্যাঙ্কের কাছে চিঠি পাঠাবে সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় এই সংস্থা। যে কারণে পুলিসের অভিযোগ আসা পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হবেনা। ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম সেন্টারের ডেটা চলে যাবে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিস , টেলিকম দপ্তর ও ব্যাঙ্কগুলির কাছে। যার ভিত্তিতে পুলিসও দ্রুত কাজ করতে পারবে। একবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হলেই সেটি দিয়ে আর লেনদেন চালাতে পারবে না সাইবার অপরাধীরা। একসঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের সূত্র ধরে জানা যাবে ওই গ্রাহকের নামে আর কোথায় কোথায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে বিভিন্ন এজেন্সি। এই প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে ফ্রিজ করা হয়েছে। যেগুলি সাইবার অপরাধীরা ব্যবহার করত। পাশাপাশি সাইবার অপরাধ রুখতে আগামী দিনে জাতীয় পর্যায়ের একটি তদন্তকারী সংস্থা তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে দিল্লি। যাতে ভারতের কোনও রাজ্যে সাইবার অপরাধ হলে তারা তদন্ত করতে পারে। পাশাপাশি তাদের কাজ হবে বিভিন্ন এজেন্সি ও দপ্তরের মধ্যে সম্বন্বয় বজায় রাখা। এই ধরনের সংস্থা তৈরির জন্য আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছেন দিল্লির আধিকারিকরা।