আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
জমি দখল করে আসা কালো টাকা ভেড়ি ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন শাহজাহান। এই প্রমাণ হাতে আসার পর ‘ভাইয়ের’ কোম্পানি সাবিনা ফিশারিজের লেনদেনের নথি যাচাই শুরু হয়। দেখা যায়, সেখানে রিন্টু এন্টারপ্রাইজকে ২ কোটি টাকা মেটানো হয়েছে। খাতায়কলমে বলা হয়েছে, সেখান থেকে মাছ-সহ অন্যান্য কাঁচামাল এসেছে। আবার রিন্টু এন্টারপ্রাইজ থেকে এই টাকা পাঠানো হয়েছে শরিফুল এন্টারপ্রাইজে।
ঘটনাচক্রে, এই শরিফুলের এখনও কোনও খোঁজ নেই। তিনি মাদক কেনার টাকা যে কোম্পানির অ্যাকাউন্টে পাঠান তার প্রমাণও এসেছে ইডির হাতে। নথি ঘেঁটে ইডি জেনেছে, রিন্টু এন্টারপ্রাইজের মালিক হলেন শাহজাহানের হিসাবরক্ষক মইদুল মোল্লার শ্যালক। তদন্ত অন্যদিকে মোড় নেয় এখানেই।
মইদুল ইডির জেরায় জানান, শাহজাহানের নির্দেশমতো শ্যালকের নামে একটি কোম্পানি খোলেন তিনি। ভুয়ো লেনদেন দেখিয়ে কালো টাকা সাদা করেন ভাই। একইসঙ্গে শাহজাহানের নির্দেশমতোই তিনি ২ কোটি টাকা সাবিনা ফিশারিজ থেকে রিন্টু এন্টারপ্রাইজে পাঠান। পরে তা ট্রান্সফার করেন শরিফুল এন্টারপ্রাইজে। হিসেবের খাতায় দেখানো হয়, বকেয়া পেমেন্ট মেটানো হচ্ছে। সেই কপি তিনিও এজেন্সির কাছে জমা দিয়েছেন। লেনদেনের আগে বাদশা শরিফুলের সঙ্গে কথা বলে জেনে নেন, টাকা ঢোকার পর কোন কোম্পানিকে তা দিতে হবে। মইদুলের এই বয়ান থেকেই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন, এই কালো টাকা শাহজাহানের। এরপরই রিন্টুকে ডাকা হয়েছে তাঁর বয়ান রেকর্ডের জন্য। বিদেশ থেকে আসা মাদক যে তিনি ঘুরপথে আনছিলেন তার প্রমাণও পেয়ে গিয়েছেন গোয়েন্দারা। সমস্ত নথি, বয়ান ও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শেষ হলে শাহজাহানকে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছে ইডি সূত্র। -ফাইল চিত্র