সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বিজেপিই যে তাদের প্রধান শত্রু, তা আগেই প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তাই ভোটের প্রচারে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধেই আক্রমণের ঝাঁঝ থাকছে বেশি। মিটিং, মিছিল, সভা থেকে যেমন ধারালো অস্ত্র তাক করা হচ্ছে পদ্ম শিবিরের দিকে, তেমনই বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ চালিয়েও মজবুত করা হচ্ছে ঘাসফুলের শিকড়। তবে এবার সম্পূর্ণ অন্য ঘরানায় বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। প্রশ্নমালা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি’র বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করবেন তাঁরা।
কী তার বিশেষত্ব? তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, এলাকাভিত্তিক ‘পঞ্চপাণ্ডব’ তৈরি করা হবে। অর্থাৎ ভালো কথা বলতে পারে, এমন পাঁচজন কর্মীকে নিয়েই হবে এই বাহিনী। তাঁরাই যাবেন বাড়ি বাড়ি। তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানাবেন। তাঁদের হাতে থাকবে সেই প্রশ্নপত্র। বাছাই করা আটটি প্রশ্ন তুলে ধরা হবে ভোটদাতার কাছে।
সেই তালিকায় প্রশ্নগুলি অনেকটা এমন— প্রথমত, বিজেপি স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেছে, ভেঙেছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি। আপনার কি মনে হয়, এটা ঠিক? দ্বিতীয়ত, বাংলার বাইরে থেকে এসে ষড়যন্ত্র আর বাংলার বাইরে গিয়ে রাজ্যকে অপমান, এটা উচিত? তৃতীয়ত, দশ বছরের দিল্লির জমিদাররা ভোটের সময় বাংলায় এসে প্রতিশ্রুতি দেন। পরে কথা রাখে না। ঠিক না ভুল? চতুর্থত, পাঁচ বছরে দিল্লি ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা কর নিয়েছে। অথচ হকের ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এটা কি উচিত? পঞ্চমত, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আটকে রাখা কি যুক্তিসঙ্গত? ষষ্ঠ এবং সপ্তম প্রশ্ন যথাক্রমে আবাস যোজনা এবং কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইতে গিয়ে তৃণমূলের উপর পুলিসি অত্যাচার নিয়ে মানুষের মতামত। শেষ প্রশ্ন, রাজনৈতিক কারণেই বিজেপি বাংলা বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে। মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং ঘৃণার জন্ম দেয়। এই বিজেপিকে কি বাংলা বিরোধী বলা যায়? এই আটটি প্রশ্নের শেষে থাকছে আরও একটি চমক।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সেই প্রশ্নমালার নীচে থাকবে একটি কিউআর কোড। সেটি স্ক্যান করলেই দেখা যাবে বিজেপির বাংলা বিরোধী কার্যকলাপের বিভিন্ন ভিডিও। অর্থাৎ এই প্রশ্নপত্র ছড়িয়েই নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ককে মজবুত করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।