যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, এদিন ভোরবেলা বাড়ি থেকে বের হন রণিত সমাদ্দার (২৩)। তিনিই বাইক চালাচ্ছিলেন। তাঁর পিছনের সিটে ছিলেন সম্রাট গায়েন (১৯)।কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। ভোরবেলায় পুলিসের নজরদারি এড়ানো সম্ভব, তাই তাঁরা কেউই হেলমেটের তোয়াক্কা করেননি বলেই অনুমান থানার। টালিগঞ্জ, আনোয়ার শাহ রোড হয়ে লেক গার্ডেনস ফ্লাইওভারে ওঠেন তাঁরা। সেখান থেকে নামার সময় বিপত্তি ঘটে। তীক্ষ্ণ বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি ফ্লাইওভারের কংক্রিটের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা মারে বাইকটি। দু’জনেই ছিটকে পড়ে যান। ফ্লাইওভারের ফুটপাতে মাথা ঠুকে যায় চালকের। সেখানে উপস্থিত প্রাতর্ভ্রমণকারীরা দুর্ঘটনার বিকট শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন। খবর যায় রবীন্দ্র সরোবর থানায়।
মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা রণিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস জানিয়েছে, দুর্ঘটনার জেরে সম্রাটের বাঁ পা ভেঙে গিয়েছে। এছাড়াও শরীরের একাধিক জায়গায় গুরুতর চোট লেগেছে তাঁর। হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসাধীন। এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিস। সূত্রের দাবি, বাইকটি দু’জনের কারও নয়। শুধু তাই নয়, পরিবারের কারও নামে তা নথিভুক্ত নয় বলেই পরিবহণ দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে। ২০২৩ সালে বাইকটির ইনসুরেন্সের মেয়াদি উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। ওই বাইকটি কি রণিত কিনেছিলেন, নাকি সেটি অন্য কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে তাঁদের অনুমান, হেলমেটবিহীন অবস্থায় ফ্লাইওভারের উপরে মাত্রাতিরিক্ত গতিতে বাইক ছোটানোই দুর্ঘটনার মূল কারণ। লালবাজার সূত্রের দাবি, দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই দুই পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। হাসপাতালে যান তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। মৃত যুবকের বাবা জ্যোতির্ময় সমাদ্দারের কথায়, সম্রাট আর রণিত একই পাড়ার বাসিন্দা। সবেমাত্র কলেজ পাশ করেছে রণিত। বাইক চালানোর শখ ছিল তার। তবে এদিন সকালে বেরিয়ে যাওয়ার কথা পরিবারের কেউই আগে থেকে জানতেন না। আচমকা পুলিসের ফোন পেয়ে ছেলের মৃত্যু সংবাদে শোকস্তব্ধ পরিবারের সকলে।