সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
লালবাজার সূত্রের খবর, ১০ এপ্রিল কালিকাপুরে এই উধাও কাণ্ডের প্রথম ঘটনাটি ঘটে। সার্ভে পার্ক থানা এলাকার বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায় ১৩ বছরের নাবালিকা। বেগুনি রঙের চুড়িদার পরে ছিল সে। মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে সার্ভে পার্ক থানার দ্বারস্থ হন বাবা। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মিসিং ডায়েরি করে পুলিস। ওই নাবালিকার কাছে কোনও মোবাইল ফোন নেই। তার জেরে নিখোঁজকে ট্র্যাক করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, ১১ এপ্রিল শহরে এধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঠিক পরের দিনই একসঙ্গে তিন নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার খবর পায় কলকাতা পুলিস। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৭, ১৩ ও ১৭। নিখোঁজ বালিকারা ক্রম অনুসারে পাটুলি, টালিগঞ্জ ও তিলজলা থানা এলাকার বাসিন্দা। একই দিনে শহরের তিন নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে যথেষ্ট সন্দেহের চোখেই দেখছেন গোয়েন্দারা।
যদিও পরবর্তী নিখোঁজের ঘটনাগুলি আরও বেশি সন্দেহজনক। ১৩ ও ১৪ এপ্রিল তিলজলা থানা এলাকারই দু’টি জায়গা থেকে আরও দুই নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে পুলিসের খাতায়। তাদের বাড়ি যথাক্রমে জি জে খান রোড ও তিলজলা লেনে। ওই নাবালিকাদের বয়স যথাক্রমে ১৫ ও ১৭ বছর। গত সোমবার ফের তিলজলা থানা এলাকা থেকে আরও এক নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়েছে লালবাজারের মিসিং স্কোয়াড। তার বয়স ১৬ বছর। তপসিয়া রোডের বাসিন্দা সে। শেষ দুই নাবালিকার ক্ষেত্রে একটি মিল খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাদের দু’জনকেই শেষবার কালো বোরখা পরিহিত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। আপাদমস্তক বোরখায় ঢাকা। সিসি ক্যামেরা থেকে মুখ লুকাতেই কি এমন পোশাক? এমনটাই অনুমান পুলিসের।
পরপর নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। প্রত্যেকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা কি একই সূত্রে বাঁধা? এর নেপথ্যে কোনও পাচার গ্যাং কাজ করছে না তো? গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, সবচেয়ে আগে নাবালিকাদের সন্ধান পাওয়াই মূল উদ্দেশ্য। নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জেনেছে, প্রায় প্রত্যেকেই ফোনে আসক্ত ছিল। তাহলে কি প্রেমের টোপে কেউ বা কারা নাবালিকাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রভাবিত করেছিল? তবে এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তদন্তকারীরা।