সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এক সময় এই পুকুরের টলটলে জলে তাঁরা স্নান থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় নানা কাজ করতেন। এখন সেই পুকুর কার্যত খোলা ভ্যাটের চেহারা নিয়েছে। মজা পুকুরে রাতের অন্ধকারে মরা বিড়াল-কুকুর ফেলে যাচ্ছে কেউ কেউ। দুর্গন্ধে জেরবার হতে হচ্ছে সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। সেই সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু মশার ভয়। দিনের পর দিন আবর্জনা, রাবিশ জমতে জমতে পুকুর প্রায় ভরাট হতে বসেছে। বাড়ছে কচুরিপানা, হাজারও জলজ আগাছার জঙ্গল।
স্থানীয় বাসিন্দা চৈতালি ঘোষ, শুভ নন্দীরা জানাচ্ছেন, পুকুরের জল আগের অবস্থায় ফিরতে হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু আগে অন্তত পুকুরটি পরিষ্কার করা হোক। তাঁদের অভিযোগ, যেমন খুশি এখানে আবর্জনা ফেলায় এলাকায় রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। বর্ষা এলেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাঁদের আরও দাবি, কাউন্সিলার সব জানেন। দুই শরিককে ডেকে তিনি জলাশয় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তাও ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবু হাল ফেরেনি পুকুরের।
স্থানীয় ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা ১৩ নম্বর বরো চেয়ারপার্সন রত্না শূর বলেন, ‘ময়লা সরিয়ে ফেলা হবে। কিন্তু ওই জলাশয়ের মালিকপক্ষ পুকুর সংস্কারের পদক্ষেপ না করলে পুরসভা এবার আইনি পদক্ষেপ করবে।’ জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পুরসভা ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডেরই অন্য একটি জলাশয়ের মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। সেই পঞ্চাননতলাতেই ফের পুকুর বোজানোর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে জলাশয় বাঁচাতে বরোভিত্তিক কমিটি তৈরি করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জলাশয়ের ক্ষেত্রেও আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে এই কমিটি। -নিজস্ব চিত্র