যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে শনিবার রাতে আনন্দপুর এলাকায় পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগাচ্ছিলেন দুই বিজেপি কর্মী। তাঁদের দাবি, এতে বাধা দেন তৃণমূলের কর্মীরা। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। খবর পেয়ে এলাকায় আসেন কসবা এলাকার মণ্ডল সভাপতি সরস্বতী সরকার। তিনি এলে ঝামেলা আরও বাড়ে। সরস্বতীর দাবি, সমর্থকদের উপর লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদ করেন মণ্ডল সভাপতি। ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সরস্বতীর অভিযোগ, এই সময় ধারালো কিছু দিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের কর্মীরা। এতে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান তিনি। রবিবার ভোরে আনন্দপুর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। ধারালো অস্ত্র, বন্দুকের বাঁট দিয়েও আঘাত করার পাশাপাশি তাঁর সোনার হার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এফআইআরে স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিস ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে। ঘটনার সময় কারা ছিল, তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, তারা কাউকেই মারধর করেননি। এটা বিজেপির কোন্দলের ফল। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষের বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে বিরোধীরা মিটিং-মিছিল, প্রচার করছে। কেউ কোথাও বাধা দিচ্ছে না। মধ্যরাতে তারা প্রচার করছিলেন। অন্য কোনও কারণেও এই ঘটনা হতে পারে। এর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই।’
ঘটনায় জড়িতদের এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হল না, সেই দাবি নিয়ে রবিবার আনন্দপুর থানায় ধর্নায় বসেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী সহ বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা। পুলিসি হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। এরপরই সন্ধ্যায় গৌরহরি গায়েন ও আসরফ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।