কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
গাড়ুলিয়া পুরসভার মোট আসন ২১টি। একটি ওয়ার্ড বাদ দিয়ে সবকটিতেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর অর্জুন সিংয়ের ভগ্নিপতি সুনীল সিং সদলবলে যোগ দেন বিজেপিতে। সুনীল বিধায়ক তথা গাডুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান। তাঁর সঙ্গে দলবদল করে ১২ জন কাউন্সিলার। কিছু দিন পরেই ‘ঘর ওয়াপসি’ হতে থাকে। কাউন্সিলাররা ঘরে ফিরতে শুরু করেন। গত সপ্তাহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন সুনীলের দাদা চন্দ্রভান সিং। ফলে এই মুহূর্তে তৃণমূলের পক্ষে ১২ জন কাউন্সিলার। সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে বিজেপি। তাদের পক্ষে ৮ জন কাউন্সিলার রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সুনীলের দাদা চন্দ্রভান সিংয়ের ‘ঘর ওয়াপসি’ নিয়ে জল্পনা রয়েছে। চলতি মাসের প্রথম দিকে বিজেপির এমপি অর্জুন সিং আক্রান্ত হন। পুলিসও আক্রান্ত হয়। ওই ঘটনার দু’দিন পর চন্দ্রভান সিংয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিস। এর পরেই তিনি তৃণমূলে ফেরার কথা ভাবেন। সূত্রের খবর, অনাস্থা পাশ হলেও সিং পরিবারের হাতেই গাড়ুলিয়া পুরসভার ক্ষমতা থাকার সম্ভাবনা। গাড়ুলিয়া পুরসভার ৫ জন কাউন্সিলার সিং পরিবারের।
গাড়ুলিয়াতে অনাস্থা পত্রে সই করা কাউন্সিলারদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা সঞ্জয় সিং। তিনি বলেন, আমাদের দল ছেড়ে যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ফিরে এসেছেন। এখন আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই অনাস্থা জমা দেওয়া হল। এই পুরসভায় উন্নয়নমূলক কোনও কাজ হচ্ছে না। দিন দিন পরিষেবা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই কাউন্সিলাররা অনাস্থা এনেছেন। বিজেপি বিধায়ক তথা গাড়ুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল সিং বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে শুনলাম। তবে এখনও সময় আছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গেলে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি আসতেও সময় বেশি লাগবে না। অপেক্ষা করুন। অনাস্থার ভোটাভুটির দিন কী হয়।